কলকাতা: কেবল চ্যানেলের মাসুল বৃদ্ধি নিয়ে মামলার জট কাটল না কলকাতা হাইকোর্টেও। ফলে আপাতত বন্ধই থাকছে পে চ্যানেল গুলি। আগামী সোমবার বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চে ফের মামলার শুনানি। সেদিন শুনানিতে কী হয় তার দিকেই তাকিয়ে আছেন সকলে। গত শনিবার থেকে ডেন, হ্যাথওয়ে এবং জিটিপিএলের দর্শকরা জি, স্টার এবং সোনির চ্যানেলগুলি দেখতে পাচ্ছেন না। বুধবার সকাল পর্যন্ত এই অবস্থাই বর্তমান।
আরও পড়ুন- কূটনৈতিক উত্তেজনার মাঝেই চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা
চ্যানেলের মাসুল বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত ট্রাই নিয়েছিল সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই দেশের ৮টি হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছে। ওই সংস্থাগুলির আওতাধীন চ্যানেলগুলি বন্ধ হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে দর্শকদের মধ্যে। আর ব্যবসা নষ্টের ভয় পাচ্ছেন কেবল অপারেটররা। তাই আগামী শুনানিগুলির দিকেই তাকিয়ে আছেন সকলে। তথ্য বলছে, এই রাজ্যে ৫০ লক্ষ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। ১৫ দিনের নোটিস না দিয়েই, ৪৮ ঘণ্টা আগে নোটিস দিয়ে পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। রাজ্যের তরফে জানান হয়েছে, তারা এই মামলায় পক্ষ নয়। ফলে এখনই এ ব্যাপারে তারা বক্তব্য জানাবে না।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”তালিবানি শাসনে নিষিদ্ধ গর্ভনিরোধকের ব্যবহার! Taliban bans sale of birth control medicines” width=”560″>
এদিকে ব্রডকাস্টারদের বক্তব্য, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কেরল হাইকোর্ট সহ বিভিন্ন হাইকোর্টে বিভিন্ন মামলা হয়েছে। কিন্তু কোনও আদালতেই কোনও নির্দেশ না দেওয়ায় এখন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা। এই মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই বলেই দাবি তাদের। বিষয় হল, মূলত বন্ধ করা হয়েছে সোনি, স্টার ও জি-এর চ্যানেলগুলি। আসলে, ট্রাই-এর নতুন মাসুল নীতি কার্যকর হওয়ার পর দাম বাড়িয়ে এমএসও-দের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে চান চ্যানেলগুলির মালিকপক্ষ। তাঁদের ঠিক করে দেওয়া দামেই এমএসও এবং কেবল আপরেটরদের চ্যানেল চালাতে বলা হয়েছে। কিন্তু দাবি না মেনে সারা দেশে কেবল টিভির জনপ্রিয় চ্যানেলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- আকস্মিক কিয়েভ সফরে বাইডেন, পুতিনের পরিকল্পনা ভুল ছিল মন্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের
জানা গিয়েছে, ট্রাই-এর তরফে গত নভেম্বরে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে মাসুল বৃদ্ধি ও সেই সংক্রান্ত চুক্তি রিনিউ করার কথা সার্ভিস প্রোভাইডারদের জানানো হয়েছিল। ট্রাই জানিয়েছেন, এখানে তাদের কিছু করার নেই। এটি এমএসও এবং ব্রডকাস্টারদের সমস্যা। মামলাটি ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হোক বলে দাবি।