#Budget2019: মোদি সরকারের বাজেটে কতটা বরাদ্দ কর্মসংস্থানে?

কলকাতা: কর্মসংস্থান থেকে লগ্নি, দেশের হাল ফেরাতে আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যপূরণ কীভাবে সম্ভব? আজ বাজেটে পেশ করে দিশা দেখাতে পারনেন না মোদি সরকারের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন৷ বছরের শুরুতেই ভোট অন অ্যাকাউন্টে সব থেকে বড় উপহার দেওয়া কথা থাকলেও মোদির সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজাটে তা কার্যত অধরা৷ তবে, ঘুরপথে কংর্মসংস্থানের কিছুটা বার্তা পাওয়া গিয়েছে৷ কেন্দ্রীয় অর্থ

imagesmissing

#Budget2019: মোদি সরকারের বাজেটে কতটা বরাদ্দ কর্মসংস্থানে?

কলকাতা: কর্মসংস্থান থেকে লগ্নি, দেশের হাল ফেরাতে আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যপূরণ কীভাবে সম্ভব? আজ বাজেটে পেশ করে দিশা দেখাতে পারনেন না মোদি সরকারের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন৷ বছরের শুরুতেই ভোট অন অ্যাকাউন্টে সব থেকে বড় উপহার দেওয়া কথা থাকলেও মোদির সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজাটে তা কার্যত অধরা৷ তবে, ঘুরপথে কংর্মসংস্থানের কিছুটা বার্তা পাওয়া গিয়েছে৷

কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, চিরাচরিত ঐতিহ্যশালী শিল্পগুলির উন্নয়ন এবং উৎসাহদানের লক্ষ্যে বিশেষ তহবিল ঐতিহ্যবাহী শিল্পগুলির বিকাশ ও পুনরুজ্জীবন তহবিল বা এসএফইউআরটিআই প্রকল্পের আওতায় সরকার আরও কমন ফেসিলিটি সেন্টার স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংসদে আজ ২০১৯-২০ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করে তিনি বলেন, এরফলে কর্মসংস্হানের সুযোগ যেমন সৃষ্টি হবে, পাশাপাশি চিরাচরিত ঐতিহ্যশালী শিল্পগুলির জন্য ক্লাস্টার গঠন করা সম্ভব হবে। ফলে এই শিল্পগুলি আরও উৎপাদনক্ষম এবং লাভদায়ক হবে। বাঁশ, মধু এবং খাদি ক্লাস্টারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এসএফইউআরটিআই প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৫০ হাজার কারিগরের জন্য ১০০টি নতুন ক্লাস্টার গঠন করা হবে। উদ্ভাবন, গ্রামীণ শিল্প এবং শিল্পোদ্যোগে উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রকল্প (এএসপিআইআরই)এর আওতায় প্রাণীপালন সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়া হবে। গ্রামীণ কৃষিজ শিল্পক্ষেত্রে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৭৫ হাজার দক্ষ শিল্পোদ্যোগী গড়ে তুলতে এই প্রকল্প সহায়ক হবে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মৎস সম্পদ যোজনার আওতায় মৎস পালন মন্ত্রক, মাছ চাষের ক্ষেত্রে মৎসজীবিদের সহায়তা করবে। পরিকাঠামো তৈরি, আধুনিকীরকরণ, উৎপাদন, গুনগতমান বজায় রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মৎস পালনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের এই যোজনার আওতায় সহায়তা করা হবে।

কৃষি ক্ষেত্রে পরিকাঠামো আরও বিনিয়োগের লক্ষ্যে সরকারের অঙ্গিকারের কথা বাজেট ভাষণে উল্লেখ করে শ্রীমতি সীতারমন বলেন, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগের অংশগ্রহণ বাড়াতে বাঁশ এবং কাঠের মতো উৎপাদনে সরকার সাহায্য করবে। তিনি বলেন, অন্নদাতারা শক্তিদাতাও হতে পারেন। আগামী ৫ বছরে কৃষকদের কল্যাণে ১০ হাজারটি সংগঠন স্হাপনের কথা বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে। সমবায়ভিত্তিক এই সংগঠনগুলি গোখাদ্য, দুধ সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং বাজারজাত করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষিজ পণ্যের বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় ই-ন্যামের সুবিধা পাওয়ার জন্য কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করবে। চাষিদের জন্য সহজে ব্যবসা করা এবং সহজ জীবনযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে আমাদের কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *