আজ বিকেল: সপ্তম পে কমিশন রিপোর্ট প্রকাশের পরেই কেন্দ্রীয় বাজেটে তার প্রতিফলন দেখা গেল। যদি কোনও সরকারি কর্মচারী বেতনের ১০ শতাংশ হারে পেনশন পেতেন তাহলে সরকার সেখানে তাঁকে চার শতাংশ অতিরিক্ত দিত। তবে নয়া বেতন কমিশনে সেই শতাংশের মাত্রা বাড়ি ১৪ করেছে। সামনেই ভোট তাই সপ্তম পে কমিশনকে উহ্য রেখেই বাজেটে একের পর এক মাস্টার স্ট্রোক দিলেন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। অসংগঠিত ক্ষেত্রে বড় পেনশন স্কিমের কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় বাজেটে। প্রায় দশ কোটি কর্মী জন্য মাসে ৩ হাজার টাকা করে পেনশন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মনধন।
পীযূষ গোয়েলের আশা, পাঁচ বছরের মধ্যেই এই পেনশন প্রকল্প অসংগঠিত ক্ষেত্রে বিশ্বের সর্ববৃহৎ পেনশন প্রকল্পে পরিণত হবে। এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন, ঘরে সহযোগীর কাজ করা শ্রমিক, বিড়ি শ্রমিক, ছোট দোকান কর্মীর মতো অনেকেই। এই অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা পেনশন স্কিমে যোগ দিতে পারেন ১৮ বছর বয়সে। তাঁকে দিতে হয় মাসে ৫৫ টাকা করে। ২৯ বছর বয়সে যোগ দিলে দিতে হয় ১০০ টাকা করে।
৬০ বছর বয়সে পৌঁছলে পেনশন পেতে শুরু করেন তাঁরা। পেকমিশনের ঝুলিতে আরও অনেক চমক, ১ কোটি শ্রমিকের জন্য ৩০০০ টাকার পেনশন প্রকল্প। ২১ হাজার আয়ের শিল্প শ্রমিকদের বোনাস দ্বিগুন। গ্রাচুইটির সীমা ১০ থেকে বেড়ে ২০ লক্ষ টাকা। ১৫ হাজার টাকার কম বেতনেই চালু পেনশন। শ্রমিকদের জন্যইপিএম আড়াই লক্ষ থেকে বেড়ে হল ৬ লক্ষ। শ্রমিকদের ন্যূনতম পেনশন ১০০০ টাকা। কর্মরত শ্রমিকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের হাতে যে ইপিএফ বাবদ টাকা তুলে দেওয়া হবে তার পরিমাণ দ্বিগুন। একই সঙ্গে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা প্রকল্পের কর্মীদের সাম্মানিক।