নয়াদিল্লি: আজ সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করে কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জিএসটি, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এবং ব্যবসায়ী মহলের জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন৷ জিএসটি, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এবং ব্যবসায়ী মহলের জন্য কী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে?
জিএসটি
- পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) ভারতকে অভিন্ন বাজারে পরিণত করেছে।
- জিএসটি-র ফলে করমান্যতার পাশাপাশি, কর সংগ্রহ বেড়েছে এবং ব্যবসায়িক কাজকর্মও সহজ হয়েছে।
- আন্তঃরাজ্য পণ্য পরিচালনা আরও দ্রুততর ও সুদক্ষ হয়েছে।এমনকি, বাধা-বিপত্তিও কমেছে।
- জিএসটি-র ফলে অধিকাংশ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য শূন্য থেকে ৫ শতাংশ কর ধাপের আওতায় এসেছে।
- ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য জিএসটি বাবদ ছাড়ের পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়ে ২০ লক্ষ টাকা থেকে ৪০ লক্ষ টাকা হয়েছে।
- দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়, এমন ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে কর প্রদান এবং বছরে একবার রিটার্ন দাখিলের সুবিধা।
- ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয় এমন ছোট পরিষেবা প্রদানকারীদের কম্পোজিশন স্কিমের সুবিধা নিতে পারবেন এবং ১৮ শতাংশের পরিবর্তে ৬ শতাংশ জিএসটি প্রদান করবে।
- জিএসটি বাবদ রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ উৎসাহব্যঞ্জক।চলতি বছরে প্রতি মাসে গড় কর সংগ্রহের পরিমাণ ৯৭ হাজার ১০০ কোটি টাকা, যা আগে ছিল মাসিক ৮৯ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এবং ব্যবসায়ী মহল
- জিএসটি নথিভুক্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির জন্য ১ কোটি টাকার ঋণের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ সুদ ছাড়।
- রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে তাদের মোট সংগ্রহের অন্তত ৩ শতাংশ মহিলা পরিচালিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি থেকে গ্রহণ করতে হবে।
- ডিআইপিপি-র নাম পাল্টে ডিপার্টমেন্ট ফর প্রোমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড ইন্টারন্যাল ট্রেড করা হয়েছে।