নয়াদিল্লি: ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে নয়া দাওয়াই ২০১৯-২০২০ সালের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক সমীক্ষায়৷ দেশের অর্থনীতির হাল বদলাতে বাণিজ্য-বান্ধব নীতির ওপর গুরুত্ব বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল কেন্দ্রের৷
প্রতিযোগিতামূলক বাজার চাঙ্গা করতে সম্পদ বৃদ্ধি করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ বিশেষ কোনও গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব দূর করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করাও বার্তা দেওয়া দেওয়া হয়েছে অর্থিক সমীক্ষায়৷
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সংসদে ২০১৯-২০ অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করে জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালের পর থেকে অর্থনৈতিক যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা এর পক্ষে সাক্ষ্য বহণ করছে৷ সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, গঠনমূলক বিনির্মাণ বেড়েছে সংস্কারের পর থেকে৷ ১৯৯১-তে ভারতীয় অর্থনীতির যে উদারীকরণ হয়, তাতে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক মনোবৃত্তি বৃদ্ধি পায়৷ গঠনমূলক বিনির্মাণ বাজারে নিয়ে আসে নতুন উদ্ভাবন, পুরনো প্রযুক্তির তুলনায় তা মানুষকে আরও ভালো করে পরিষেবা দিতে পাচ্ছে৷
বাজারে আসে নতুন নতুন সংস্থা, চালু সংস্থাগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে থাকে তারা৷ এই প্রতিযোগিতার ফলে কম দামে ক্রেতারা জিনিস পান৷ শেয়ার বাজারেও উদারীকরণের পর আমূল পরিবর্তন ঘটেছে৷ সেন্সেক্স বাড়ছে দ্রুতগতিতে৷ যেখানে ৫ হাজার পয়েন্ট পার হতে লেগেছিল ১৩ বছর, তা এখন বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে৷ উদারীকরণের আগে একেকটি সংস্থার নাম সূচক তালিকায় ৬০ বছরের জন্য থাকতো, এখন তা ১২ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে৷ উৎপাদন শিল্পকে সরিয়ে উঠে এসেছে পরিষেবা ক্ষেত্র৷
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পরিষেবা ক্ষেত্রের অবদান অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ বাণিজ্য-বান্ধব নীতির জায়গায় পক্ষপাতমূলক নীতি দেশের অর্থনীতিতে সম্পদ ধ্বংস করে৷ বেনামী সংস্থাগুলি এই নীতি থেকে ফায়দা তোলে৷ ফলে, দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে প্রয়োজন বাণিজ্য-বান্ধব নীতি৷ সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাঙ্ক ঋণ পরিশোধ কেউ না করলে, তার ভার চাপে অন্যের উপর৷ তাতে আগ্রহী ব্যক্তিরাও লগ্নি বা নতুন উদ্যোগ করা থেকে পিছিয়ে যান৷ ফলে, এই সমস্যাও দ্রুত টাকাতে হবে৷