মহামারী আবহে কীভাবে বাঁচাবেন কষ্টের সঞ্চয়? একাধিক ব্যাংকে টাকা থাকলে সাবধান!

মহামারী আবহে কীভাবে বাঁচাবেন কষ্টের সঞ্চয়? একাধিক ব্যাংকে টাকা থাকলে সাবধান!

imagesmissing

নয়াদিল্লি:  একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে, তাতে লাভের চেয়ে লোকসানই হয় বেশি৷ কিন্তু অধিকাংশ সময়েই বিষয়টি আমাদের নজরে আসে না৷ যদি পরিবারের রোজগেরে ব্যক্তি বেতনভোগী হন, তাহলে অনেকগুলির বদলে একটি অ্যাকাউন্ট থাকাই ভালো৷ কর ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল জমা করার সময় একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে অনেক বেশি সুবিধা হয়৷ কারণ আপনার যাবতীয় ব্যাংকিং তথ্য একটি অ্যাকাউন্ট থেকেই উপলব্ধ হয়৷ 

এছাড়াও একটি সেভিংস অ্যাকাউন্টের বেশ কিছু অর্থিক সুবিধাও আছে৷ কারণ ডেভিড কার্ড, এসএমএস সার্ভিস চার্জ বাবদ টাকা কেটে নেওয়া হয় আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে৷ রয়েছে ন্যূনতন ব্যালেন্স রাখার ঝক্কিও৷ তাই যত বেশি অ্যাকাউন্ট তত বেশি খরচ৷ 

একজন ব্যক্তির কতগুলি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা উচিত? এই প্রশ্নের উত্তরে কর ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ জিতেন্দ্র সোলাঙ্কি বলেন, ‘‘একটি নির্দিষ্ট সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকাই ভালো৷ বেশি অ্যাকাউন্ট হলে ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখার জন্য অনেক বেশি টাকা প্রয়োজন হয়৷ সঙ্গে রয়েছে ব্যাংকের সার্ভিস চার্জের বোঝা৷’’

একাধিক ব্যাংকে সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকলে সুপ্ত অ্যাকাউন্টের সম্ভাবনা বাড়ে৷ যা থেকে জালিয়াতির ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়৷ কোনও ব্যক্তি একটি চাকরি ছেড়ে অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় তাঁর ব্যাংকের অ্যাকাউন্টও৷ পড়ে থাকা অ্যাকাউন্ট সুপ্ত অবস্থায় চলে যায়৷ সেই সঙ্গে বাড়ে জালিয়াতির সম্ভাবনা৷ 

আবার একাধিক অ্যকাউন্ট থাকলে প্রতিটি অ্যাকাউন্টে ন্যূনতন ব্যালেন্স রয়েছে কিনা, তা খেয়াল রাখতে হয়৷ সেক্ষেত্রে কোনও ভুলচুক হয়ে গেলে ঘাড়ে চাপে ক্ষতিপূরণের বোঝা৷  যত বেশি অ্যাকাউন্ট তত বেশি সার্ভিস চার্জের বোঝা৷ একটি অ্যাকাউন্ট থাকলে এই সার্ভিস চার্জ থাকে সাধ্যের মধ্যে৷ 

এখন অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংকগুলিতে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা রাখতে বলা হয়৷ আপনার যদি তিনটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে বাকি ৪০ হাজার টাকা শুধুমাত্র ন্যূনতম ব্যালেন্স বজার রাখার জন্য আটকে থাকবে৷ এর সঙ্গে বাড়বে বাড়তি সার্ভিস চার্জ৷ আর এই মহামারীর সময়ে সার্ভিস চার্জ কত বড় বোঝা, তা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন আছে কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *