নয়াদিল্লি: দূষণ মুক্ত পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে একাধিক নিত্যনতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে গোটা বিশ্ব৷ কিন্তু পরিবেশবিদদের মতে তারপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে ততই দূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে৷ বর্তমানে এই মাত্রা বৃদ্ধিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে প্লাস্টিক৷ ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ এবার সেই একই পথে হাঁটল ভারত৷ স্বচ্ছ ভারত অভিযানের পর এবার বাজারে প্লাস্টিক ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু প্লাস্টিক ছাড়া চলবে কী করে! বড় বড় ঠাণ্ডা পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি চলবে কী করে! এই সমস্ত চিন্তার অবসান ঘটাতে বাজারে আসতে চলেছে বাঁশের তৈরি বোতল৷
প্লাস্টিকের বিকল্প হিসাবে মাটির বাসনপত্র, কাগজের বাসনপত্র ছাড়াও কাচ, রুপো, পিতল, স্টিলজাত বাসনপত্র তৈরিতে জোর দিয়েছে দেশের সরকার৷ এসব কিছুর মধ্যে সবশেষ সংযোজন বাঁশের তৈরি বোতল৷ প্রধানত অসম এবং ত্রিপুরায় ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পীদের হাতে তৈরি হচ্ছে এই বাঁশের বোতল৷ ৭৫০ মিলিলিটারের একটি বোতলের দাম ৩০০ টাকা৷ প্লাস্টিকের বোতলের থেকে দাম বেশি হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিশ্বাস পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি এই বোতল সুস্বাস্থ্যকাওর৷ প্লাস্টিক অজৈব পদার্থ হওয়ায় তা সহজে নষ্ট করা যায়না৷ কিন্তু বাঁশের তৈরি এই বোতল টেকসই হওয়ার পাশাপাশি সহজে নিষ্পত্তিযোগ্য৷ দেশের সমস্ত খাদি এবং গ্রাম উদ্যোগ দোকানে পাওয়া যাবে এই বোতল৷
এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের প্লাস্টিক পণ্য বর্জন কর্মসূচীতে যোগদানের জন্য দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গত ১ অক্টোবর প্লাস্টিক পণ্য বর্জন কর্মসূচি ও বাঁশের তৈরি বোতলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি৷ কথামতো ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধির জন্মদিন থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে সেই কর্মসূচী৷ তবে বাজারে আসার পর বাঁশের তৈরি এই বোতল কতটা সফলতা পাবে, সেবিষয়ে সন্ধিহানে দেশের সরকার৷