নয়া দিল্লি: কোভিড ১৯ ভাইরাসের জেরে গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে ত্রাস। লকডাউন ছাড়া অন্য কোনও উপায় দেখছে না বিশ্ববাসী। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব অর্থনীতিতে যে মন্দা আসতে চলেছে, তা আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্ষতির মুখে পড়ছে বেসরকারি সংস্থাগুলিও। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বাজাজ ফিনান্সের ম্যানেজমেন্ট দলের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১০ দিনের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ গ্রাহক হারিয়েছে সংস্থাটি। যার ফলে অ্যাসেটস আন্ডার ম্যানেজমেন্টে আনুমানিক ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা।
সংস্থার তরফে ম্যানেজমন্টের দল জানিয়েছে, মার্চ পর্যন্ত কোয়ার্টারের হিসেবেই এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে তারা এই বিষয়েও আশাবাদী যে, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে এই ঘাটতি সামলে উঠবে তারা এবং অক্টোবর মাসের মধ্যে তাদের ব্যবসা আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন কতদিন পর্যন্ত চলবে তার ওপর নির্ভর করছে সংস্থাগুলির অবস্থা। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত যদি লক ডাউন চলে, তাহলে আগামী মে মাসের মধ্যেই স্বাভাবিক ব্যবসার অন্তত ৬০ শতাংশ তুলে নিতে পারবে সংস্থা। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলেই আশাবাদী তাঁরা।
সংস্থাটির ম্যানেজমেন্ট টিমের তরফে জানানো হয়েছে, 'আমাদের পরিচালনা খরচ বাবদ ৭-৮ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। অক্টোবর পর্যন্ত সব নির্ধারিত খরচও লাগামে রাখতে পারছি। এই মুহূর্তে আমাদের ব্রাঞ্চগুলির খাতে কোনও খরচ নেই। নতুন করে নিয়োগও হচ্ছে না। তাছাড়া পরিবহন বাবদ খরচও নেই।' এদিকে লকডাউনের জেরে ইতিমধ্যেই রিজার্ম ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) নির্দেশ অনুসারে শর্তসাপেক্ষে ইএমআই স্থগিতের সুবিধা দিয়েছে বাজাজ ফিন্যান্স। কোনও গ্রাহক চাইলে ইএমআই স্থগিত করতেই পারেন। তবে পরিশোধের মেয়াদ বেড়ে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত সময়ের জন্য সুদ দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সাড়ে ৩ লক্ষ গ্রাহক হারানো যে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ছে সংস্থাটি, তা জানিয়েছে বিশেষজ্ঞমহলও।