নয়াদিল্লি: এবার বিমান বন্দরের ধাঁচে দুরপাল্লা ট্রেনের ক্ষেত্রেও চালু হচ্ছে বোর্ডিং টাইম সহ একাধিক সুরক্ষা বিধি। সিল করে দেওয়া হবে প্লাটফর্ম। ট্রেন ছাড়ার ২০ মিনিট আগে যাত্রীদের ঢুকতে দেওয়া হবে স্টেশনে। চলবে নিরাপত্তা পরীক্ষা। তারপর মিলবে ট্রেনে ওঠার অনুমতি। পূর্বের মত দীর্ঘক্ষণ আগে এসে অপেক্ষা করার দিন শেষ। তবে, সেজন্য যাতে দেরি না হয় সেজন্য একাধিক এন্ট্রি পয়েন্ট খোলা হবে।
অত্যাধুনিক টেকনোলজির সাহায্য নেওয়া হবে পরীক্ষার ক্ষেত্র। পরিকল্পনা অনুযায়ী, পুরো স্টেশনটিই থাকবে সিল করা। যেসব অরক্ষিত অংশে ওয়াল তৈরি করা সম্ভব হবে না, সেখানে রাখা হবে সশস্ত্র প্রহরী। কুম্ভমেলার আগেই প্রয়াগরাজে এই ব্যবস্থা কার্যকরী হতে চলেছে। একই সঙ্গে কর্ণাটকের হুবলিতেও এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। প্রথম ধাপে ২০২টি স্টেশনের ক্ষেত্রে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন এই সুরক্ষা ব্যবস্থার খরচ ধরা হয়েছে ৩৮৫.০৬ কোটি। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের ডিজি অরুন কুমার জানান, টেকনোলজির চূড়ান্ত ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা চলছে। এরফলে কর্মী সংখ্যার ঘাটতিও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
কীভাবে কার্যকর হবে এই বিশেষ ব্যবস্থা? সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরপিএফের (রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স) ডিরেক্টর জেনারেল অরুণ কুমার জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে প্রধানত রেলওয়ে স্টেশন ‘সিল’ বা বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অর্থাৎ রেল স্টেশনে ঢোকার কতগুলি প্রবেশ পথ রয়েছে, তা আগে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তারপর দেখা হচ্ছে সেগুলির মধ্যে কত প্রবেশ পথকে ‘সিল’ করে দেওয়া সম্ভব। কিছু অংশকে সীমানা প্রাচীর দিয়ে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিছু প্রবেশ পথে বসানো হবে কোলাপসিবল গেট। আর বাকিগুলিতে মোতায়েন করা হবে পর্যাপ্ত সংখ্যায় আরপিএফ পার্সোনেল। যাঁরা স্টেশনে ঢোকার আগে সাধারণ যাত্রীদের সিকিউরিটি চেকিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন।
জানা গিয়েছে, দেশের মোট ২০২টি রেল স্টেশনের যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইন্টিগ্রাল সিকিউরিটি সিস্টেমের (আইএসএস) আওতায় এই ব্যবস্থাটির অনুমোদন দেওয়া হয়। যার মধ্যে স্টেশনের প্রবেশ পথ থেকে ট্রেনে ওঠার আগে পর্যন্ত যাত্রীদের সিকিউরিটি চেকিং, মালপত্রের পরীক্ষা, সিসিটিভি ক্যামেরা, বম্ব ডিটেকশনের মতো একাধিক বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি থাকছে ‘ফেস রিকগনিশনে’র ব্যবস্থাও। যাতে যেকোনও অপরাধী স্টেশন চত্বরে এলেই আরপিএফের কাছে সঙ্কেত চলে যেতে পারে। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র প্রবেশ পথে সিকিউরিটি চেকিং হয়ে গেল মানেই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেল, তা মোটেও নয়। ট্রেনে ওঠার আগে পর্যন্ত সময়ে যাত্রীদের আচমকা সিকিউরিটি চেকিং হতে পারে।