নয়াদিল্লি: প্যান-আধারের পর এবার ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার যোগের অনুমতি! নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনতে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে বুধবার চারটি উল্লেখযোগ্য সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মোদি সরকারের তরফে। ভোটার পরিচয়পত্রের সঙ্গে আধার নম্বর যোগ ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছে, নতুন ভোটারের নাম তোলা, আইনে লিঙ্গ বৈষম্য দূর এবং কমিশনকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রদানের প্রস্তাব। দেশের আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করতে এবং দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর৷
চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই এই সংস্কারমূলক প্রস্তাবগুলি পেশ করা হবে। অনলাইনে ভোটার-তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া বছর দুয়েক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এবার ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার যুক্ত করার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক করাটা বাধ্যতামূলক হলেও, এক্ষেত্রে একই নিয়ম লাগু হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের গোপনীয়তার অধিকার সংক্রান্ত রায় অনুযায়ী, যে কোনও ভোটার চাইলে তাঁর কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ নাও করতে পারেন। এ বিষয়ে তাদের পাইলট প্রকল্পে ভালো সাড়া মিলেছে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। ভুয়ো প্রার্থী বাতিল হয়ে ভোটার তালিকা শক্তিশালী ও স্বচ্ছ হচ্ছে৷ পাশাপাশি আরও বেশি সংখ্যায় যোগ্য ব্যক্তিরা যাতে ভোটার তালিকায় দ্রুত নাম তুলতে পারেন, সেই প্রস্তাবও আনা হয়েছে। এই মর্মে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকেই ১৮ বছর বয়সি ব্যক্তিরা বছরে চারবার নিজেদের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে পারবেন। বর্তমানে, এই পরিষেবা বছরে একবারই মেলে। এমনকি লিঙ্গ বৈষম্যহীন ভোটার আইন তৈরি করতেও পদক্ষেপ করছে সরকার৷ এবার থেকে সার্ভিস অফিসারের স্বামীও ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন৷ এখন একজন পুরুষ সার্ভিস অফিসারের স্ত্রীরা সেই সুযোগ পেয়ে থাকেন। এছাড়া ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন যাযে কোনও চত্বর বা বিল্ডিং যাতে অধিগ্রহণ করতে পারে, সেজন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।