কলকাতা: সকালে ঘুম থেকে উঠের চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে খবরের কাগজ পড়া, এ বাঙালির চিরকালীন অভ্যাস। এবার মধ্যবিত্ত বাঙালির চায়ের ভাণ্ডারে চায়ের টান পড়তে চলেছে। চলতি বছর চায়ের উৎপাদন কম। যার জেরে চায়ের দাম বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া হিসেব অনুযায়ী দার্জিলিং চায়ের উৎপাদন অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। আগে যেখানে ১২ মিলিয়ন কেজি চায়ের উৎপাদন হতো। সেখানে চলতি বছর ৬ মিলিয়ন কেজি চায়ের উৎপাদন হয়েছে। যার জেরে সাধের সুগন্ধী চা সাধ্যের বাইরে যেতে বসেছে। চায়ের বিপুল উৎপাদন কমার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে রফতানিও। চা রফতানিতে বিশ্বে ভারতের নিজস্ব জায়গা রয়েছে। চা রফতানি কমে যাওয়ার কারণে চা থেকে আসা মূলধন কমতে শুরু করেছে। চা থেকে লাভের পরিমাণ নীচে নামতে শুরু করেছে।
ভারতের অন্যতম রফতানি পণ্য হল চা। সেই চায়ের রফতানি কমতে শুরু করেছে। যার জেরে উদ্বেগ বাড়ছে। গত বছর এপ্রিল-ফেব্রুয়ারির হিসেবে চা রফতানির পরিমাণ ছিল ১৮৮.৯১ কেজি। সেখানে চলতি অর্থবর্ষে চায়ের রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮৪.৩৫ কেজি। প্রায় ২৪ শতাংশ কমেছে চা রফতানি। যা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ বলেই অনেকে মনে করছেন। তবে চা রফতানি কমলেও রফতানি থেকে অর্জিত মূল্যের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষ প্রথম ১১ মাসে চা রফতানি করে যে মূল্য পাওয়া গিয়েছে তা হল ৪,৯৫৬ কোটি টাকা। সেখানে গত অর্থবর্ষে সেই মূল্য ৪,৯৩৩ কোটি টাকা। তবে চায়ের উৎপাদন বাড়লে বৈদেশিক মুদ্রার আয় যে আরও বাড়ত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।