ছাপা বন্ধ থাকলেও বাজারে রয়েছে বিপুল পরিমাণ ২ হাজার টাকা!

ছাপা বন্ধ থাকলেও বাজারে রয়েছে বিপুল পরিমাণ ২ হাজার টাকা!

নয়াদিল্লি: কালো টাকা উদ্ধারে রাতারাতি বাতি হয়ে গিয়েছিল ৫০০, ১০০০ টাকার নোট৷ পুরোনো নোট বাতিল করে বাজারে এসেছিল ২ হাজার টাকার চকচকে নোট৷ কিন্তু, নতুন ২ হাজার টাকা বাজারে আনার ৫ বছরের মধ্যেই উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন৷

জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দির পর বাজারে আসে ২ হাজার নোট৷ ২০১৭-২০১৮ অর্থবর্ষে হয় এই টাকার চল ছিল ব্যাপক৷ ৩৩৬৩০ লক্ষ ২০০০ টাকার নোট ছাপা হয়৷ যার মোট অর্থমূল্য ছিল প্রায় ৬.৭২ লক্ষ কোটি টাকা৷  ২০১৭-২০১৮ অর্থবর্ষে চাহিদা থাকলেও বর্তমানে তা তলানিতে এসেছে ঠেকেছে৷ যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯১২০ লক্ষ৷  ২০১৭-২০১৮ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবর্ষে চাহিদা কমেছে ২৭ শতাংশের কাছাকাছি৷

দুই হাজার টাকার নোট প্রসঙ্গে অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আগেই জানিয়েছিলেন, একটিও দুই হাজারের নোট ছাপানো হয়নি৷ আরবিআইয়ের সঙ্গে আলোচনার পরে নোট ছাপানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের পর থেকে দু’হাজার টাকার একটিও নোট ছাপা হয়নি৷ কিন্তু, নোট ছাপা বন্ধ থাকলেও বাজারে কেন থেকে গেল বিপুল পরিমাণ ২ হাজার টাকার নোট?

বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, হয়তো কালোটাকার আকারে দুই হাজার টাকার নোট বেহাত হয়ে গিয়েছে৷ ২০১৬ সালে নোটবন্দির পর আরবিআইয়ের বার্ষিক রিপোর্টে জানানো হয়, বাতিল নোটের ৯৯ শতাংশ ফেরত পাওয়া গিয়েছে৷ ফলে, তখনই নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল৷

এবার আরবিআইয়ের দাবি, দেশে নগদের প্রচলন বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে৷  ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে ৭.২ শতাংশ মুদ্রা এবং নগদ মূল্যের পরিমান ১৬.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ জানা গিয়েছে, ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোটের পরিমাণ ছিল ৮৫.৭ শতাংশ৷  ৩১ মার্চ ২০২০ সালে তা ছিল ৮৩.৪ শতাংশ৷ প্রচলিত মুদ্রার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে ৫০০ টাকার নোট৷ প্রায় ৩১.১ শতাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *