নয়াদিল্লি: ২০১৬ সালে নোট বাতিলের যন্ত্রণা কি আরও একবার ফিরতে চলেছে দেশে? এই নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে চলছিন নানান জল্পনা৷ এবার সেই সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দু’হাজারের নোট বাতিলের বিষয়ে সংসদে নিজেদের অবস্থান জানান কেন্দ্র৷
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, ‘‘গত ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করা হয়৷ নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর থেকে দেশজুড়ে কালো টাকা রমরমা কমে গিয়েছে৷ টাকার জোগান কমে গিয়েছে জঙ্গিদের৷ করদানের হার বেড়েছে৷ অসংগঠিত অর্থনীতিকে সংগঠিত করা গিয়েছে৷ ডিজিটাল লেনদ বেড়েছে৷ ফলে, নতুন করে আর কোনও নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেই কেন্দ্রের৷’’
মোদি সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের জেরে কিছুটা হলেও থমকে দেশের অর্থনীতি৷ নোট বাতিলের পক্ষে-বিপক্ষে একাধিক যুক্তি রয়েছে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের৷ অমর্ত্য সেন থেকে শুরু করে সদ্য নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবীদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় নোট বাতিলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন৷ তীব্র বিরোধিতা করে মাঠে নেমেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতিকে নতুন মাত্রা দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
কিন্তু ২০১৬ সালের পর থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ভারতীয় অর্থনীতির বিকাশ যে খুব একটা এগোতে পারেনি তা বারবার ধরা পড়েছে বিভিন্ন সমীক্ষায়৷ ইতিমধ্যেই জাতীয় উৎপাদন কমেছে৷ পিছিয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি৷ ফলে সব মিলিয়ে নোট বন্দির যন্ত্রণা মেটাতে ‘সুদিন’ ফেরার আশা দেখছে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার৷