কলকাতা: এপ্রিল এবং মে। এই দুটি মাস গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে কালবৈশাখীর সময়। এই দু’মাসেই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে উঠবে। নির্বাচনী প্রচারপর্বে কালবৈশাখী কতটা প্রভাব ফেলবে, এখন সেটাই দেখার।
ঝড়-বৃষ্টি হলে নির্বাচনী সভা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এখন বড় নেতারা অনেকই হেলিকপ্টারে চড়ে নির্বাচনী প্রচার চালান। বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হলে সেই সময় হেলিকপ্টার ওড়ানো সম্ভব হবে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কালবৈশাখীর মেঘের যা চরিত্র, তাতে হেলিকপ্টার বা বিমানের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক। কারণ বজ্রমেঘের মধ্যে তড়িৎকণা প্রচুর পরিমাণে থাকে। ঝড়ের মধ্যে পড়লে হেলিকপ্টারের ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়।
বিমান ও হেলিকপ্টারের উড়ানের আগে আবহাওয়া দপ্তরের কাছ থেকে পূর্বাভাস নেওয়া হয়। কলকাতা বিমানবন্দরে আবহওয়া দপ্তরের আলাদা উইং আছে। বিমান ও হেলিকপ্টার ছাড়ার আগে আবহাওয়া সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। বজ্রমেঘ সৃষ্টি হয়ে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস ছাড়াও বায়ুর গতিবেগের ধরন সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়। হেলিকপ্টারে কোনও ভিআইপি থাকলে পুলিসের ডিজি (সিকিউরিটি) অফিসকে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা হয়। কালবৈশাখী আসতে চলেছে, এমন কোনও পূর্বাভাস থাকলে কোনও নেতাকে নিয়ে হেলিকপ্টারের ওড়া বাতিল হয়ে যাবে।