দিনে-দুপুরে যুবকে অপহরণ! দুষ্কৃতীদের জাপটে ধরল জনতা

দিনে-দুপুরে যুবকে অপহরণ! দুষ্কৃতীদের জাপটে ধরল জনতা

ইংরেজবাজার: বন্দুক ঠেকিয়ে এক যুবককে অপহরণ করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে ধরা পড়ল তিন অপহরণকারী। বৃহস্পতিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া থানার চাঁদমণি গ্রামে। এমনকী, ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা ওই তিন অপহরণকারীকে ব্যাপক গণপিটুনি দেয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রতুয়া থানার পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  ধৃত তিন দুষ্কৃতীর নাম মহম্মদ আরজাউল হক (৪৮), মহম্মদ ফারিদুল হক (৩৮) এবং মহম্মদ ইব্রাহিম (২৮)। এদের প্রত্যেকের বাড়ি কালিয়াচক থানা এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পাইপগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ এবং একটি চার চাকার  গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার চাঁচোল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে অভিযুক্ত মহম্মদ ইব্রাহিমকে ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতে চেয়ে চাঁচল আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নানান অপরাধ মূলক একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  রতুয়া-১ ব্লকের চাঁদপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিকলপুর গ্রামের যুবক মনিরুল হক। পেশায় ব্যবসায়ী মনিরুল হক বৃহস্পতিবার রাতে বিকলপুর স্ট্যান্ড থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর বাড়ি চাঁদমণি গ্রামে। বাড়ি ফেরার পথে অন্ধকার রাস্তায় একটি চারচাকা গাড়িতে ওই দুষ্কৃতীরা তার পথ আটকায়। তাঁকে বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেই সময় ওই যুবক মনিরুল হক চিৎকার শুরু করে দেন। ওই যুবকের আর্ত চিৎকার শুনে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন।সেই সময় দুষ্কৃতীরা গাড়ি নিয়ে পালাবার চেষ্টা করে। এরপরই গ্রামবাসীরা ধাওয়া করে ওই অপহরণকারীদের অস্ত্রশস্ত্রসহ ধরে ফেলে। তাদের সাথে থাকা আরো দুই দুষ্কৃতী রাতের অন্ধকারে সুযোগ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় চাঁদমনি এলাকায়।

এরপর স্থানীয় গ্রামবাসীরাই খবর দেয় রতুয়া থানায়। পরে রতুয়া থানার পুলিশ তৎপরতা সাথে ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং অভিযুক্ত ওই তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, দুটি কার্তুজ এবং একটি চার চাকার গাড়ি আটক করেছে। শুক্রবার অভিযুক্তদের চলাচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।  পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক কোন লেনদেনের কারণেই হয়তো ওই ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল কালিয়াচকের দুষ্কৃতীরা। কিন্তু সময়মতো গ্রামবাসীদের চেষ্টাতেই ধরা পড়ে যায় ওই তিন অপহরণকারী। যদিও এব্যাপারে পরিষ্কার করে অপহরণ হওয়া ওই যুবক পুলিশকে কিছু জানাতে চাননি।চাঁচলের এসডিপিও সজল কান্তি বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাঁচোল মহাকুমা আদালতের মাধ্যমে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে রতুয়া থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + eight =