উস্তি: পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাতের অন্ধকারে গুলিবিদ্ধ হলেন যুব তৃণমূলের নেতা৷ ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়৷ উঠে আসছে গোষ্ঠী দ্বন্দের তত্ত্ব৷ বস্তুত, ডায়মন্ড হারবারের পর উস্তির এই গুলিকাণ্ডে স্বভাবতই অস্বস্তিতে দলীয় নেতৃত্ব৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার নাম সুজাউদ্দিন গাজি৷ তিনি মগরাহাট-১ অঞ্চলের দলীয় যুব সভাপতি সুজাউদ্দিন গাজি৷ রবিবার রাতে দলীয় কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে রাতের অন্ধকারে তাঁকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার উত্তর কুসুম এলাকায়। ইতিমধ্যে গুলিকাণ্ডের তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷ সূত্রের খবর, পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে দলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব৷
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে দলীয় কার্যালয় থেকে কাজ সেরে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন সুজাউদ্দিন গাজি৷ আচমকায় অন্ধকারে তাঁর পথ আটকায় অন্য কয়েকটি বাইক৷ খুব কাছ থেকে তাকে লক্ষ্য করে চালানো হয় পর পর গুলি৷ গুলির শব্দে স্থানীয়রা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়৷ পরপর দুটি গুলি গিয়ে লাগে সুজাউদ্দিন গাজীর পেটে ও পিঠে।
স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় সুজাউদ্দিনকে বানেশ্বরপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রাতেই ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিঠুন কুমার দের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নামে। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, দলেরই বিধায়ক আর ব্লক যুব সভাপতির মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে উঠেছিল। তারই জেরে এই গুলি কাণ্ড বলে মনে করা হচ্ছে৷ যদিও এবিষয়ে দলের কোনও নেতার প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷