বিদ্যুৎপৃষ্ট বাবা-মা, বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের!

বিদ্যুৎপৃষ্ট বাবা-মা, বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের!

খড়দহ: এবার জল যন্ত্রনার স্বীকার হলেন একই পরিবারের তিন জন। পাতুলিয়ার সরকারি আবাসনে একই পরিবারের তিন জনের বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু‌র ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল খরদহতে। পাতুলিয়ার এই স্টকাতিব আবাসনটি পুলিশ কোয়াটার নামে পরিচিত। প্রতি বর্ষাতে এই অঞ্চলের  জল জমে এবং সেই জল মানুষের ঘরে ঢুকে যায়।। রবিবার রাত থেকে চলা একটানা বৃষ্টিতে জল জমে যায় এই আবাসনে। মঙ্গলবার বৃষ্টি থামলেও  এই আবাসনের জল নামেনি মঙ্গলবারও। এই আবাসনের বাসিন্দা ছিলেন রাজা দাস (৩৫), পৌলমী দাস (৩২)। তারা তাদের দুই পুত্র নিয়ে থাকতেন।

স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে পৌলমী দাস ঘরে ভেতরে জমা জলে দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন৷ আর সেই সময় তার স্বামী ফ্রিজের পাশে দাড়িয়ে বিদ্যুতের কাজ করছিলেন। জলে দাঁড়িয়ে বিদ্যুতের কাজ করার সময় হঠাৎ করেই ঘরের ভেতরে জমা জলে পরে যান। তখন তাকে পরে থাকতে দেখে ছুটে এসে বাঁচাতে যান তার স্ত্রী পৌলমী দেবী। তিনিও বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। তাদের কে পরে থাকতে দেখে তাদের বড় ছেলে ১১ বছরের নীল দাস মা বাবা কে বাঁচাতে যায়৷ সেও সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়।

এই অবস্থায় তাদের ছোট ছেলে বিষয়টি দেখে আশপাশের লোকদের ডাকাডাকি করে। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং সঙ্গে সঙ্গে মেন লাইন বন্ধ করে দেন সেই সঙ্গে রহরা থানায় খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রহড়া থানার পুলিশ ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। ওই তিন জনকে দ্রুত ব্যারাকপুর বি এন বোস হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ওই তিন জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় একই পরিবারের এক শিশু সহ তিন জনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পাতুলিয়া সরকারি আবাসনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − 7 =