দু’জায়গায় দাঁড়ালে চলবে না, নন্দীগ্রামেই দাঁড়াতে হবে! মমতাকে পাল্টা শুভেন্দুর

দু’জায়গায় দাঁড়ালে চলবে না, নন্দীগ্রামেই দাঁড়াতে হবে! মমতাকে পাল্টা শুভেন্দুর

খেজুরি: গতকাল নন্দীগ্রামে ঐতিহাসিক জনসভা করার পর শুভেন্দু অধিকারী জনসভা প্রসঙ্গে বলেছিলেন তিনি হিসেব করে জবাব দেবেন। আজকে ছুটিতে জনসভা করে কার্যত সেটাই করলেন তিনি। গতকাল নন্দীগ্রামে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে কার্যত ঘোষণা করে দিয়ে পরোক্ষে শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, দু’জায়গায় প্রার্থী হলে চলবে না, মাননীয়াকে এক জায়গার প্রার্থী হতে হবে।

গতকাল নন্দীগ্রামে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে কার্যকর ঘোষণা করে দেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি পারলে ভবানীপুর থেকেও প্রার্থী হবেন। অতএব আসন্ন বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু’জায়গার প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতেই পারে। এই প্রেক্ষিতে এদিন খেজুরিতে জনসভা করে শুভেন্দু পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললেন, মাননীয়াকে এক জায়গার প্রার্থী হতে হবে, দু জায়গার হলে চলবে না। নন্দীগ্রামেই দাঁড়াতে হবে। গতকাল মমতার জনসভা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, মাননীয়াকে যদি হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারেন তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। এদিন শুধুমাত্র নন্দীগ্রামেই মমতাকে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বাংলার রাজনৈতিক উত্তাপ আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যদি নন্দীগ্রামে শুভেন্দু বনাম মমতা দেখা যায়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। যদিও নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থীকে হবেন তা নিয়ে এখনও জল্পনা তুঙ্গে।

নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেও তিনি কি আদৌ নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী হবেন, এ ব্যাপারে আপাতত কিছু খুলসা করেননি তিনি। তবে মন্তব্য করেছেন, বিজেপির প্রার্থী এভাবে মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা যায় না কারণ বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের মতো প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নয়। সেখানে মাননীয়া যা বলেন সেটাই দলের সিদ্ধান্ত হয়ে যায়। কিন্তু বিজেপিতে সেটা হয় না। তিনি বলেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী গতকাল নন্দীগ্রামে গিয়ে শহীদদের নাম পড়ছেন কাগজ দেখে দেখে। কিন্তু তাঁকে কোনদিন টুকলি করতে হয়নি, হবেও না। একইসঙ্গে গতকালের মতো এদিনও দাবি করেন, নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা ছিল না, সেটা ছিল হায়দরাবাদের আসাউদ্দিন ওয়েইসির দলের জনসভা। কারা কারা সভায় এসেছিল সবাই জানে বলে দাবি করেছেন তিনি। একইসঙ্গে বিজেপি নেতা আরও বলেন, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি রাজনৈতিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *