বারুইপুর: মঙ্গলবার বারুইপুর থেকে রাজীবের বক্তব্য শোনার জন্য অপেক্ষা করেছিল বাংলার রাজনৈতিক মহল৷ এদিন রাজীবের বক্তব্যের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই ছিল রাজ্যের কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গ৷ আর এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই এদিন মমতা সরকারকে চরম নিশানা করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একইসঙ্গে অভিযোগ করলেন, রাজ্যে কেন্দ্রীয় অনেক প্রকল্প ইচ্ছাকৃতভাবে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এদিন রাজীব বলেন, কেন্দ্র এবং রাজ্যের যৌথ ভাবে চলতে হবে তবেই বাংলার মানুষ উন্নয়ন পাবেন।
কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক নিয়েও মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাজীব৷ বলেন,জ্যের সাধারণ মানুষ চাইছে কেন্দ্র এবং রাজ্য একসঙ্গে চলুক। কিন্তু বারংবার কেন্দ্রের সঙ্গে বিবাদ করে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যে চালানো হচ্ছে না। এদিন তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজে গর্ব করে বলা হয় রাজ্য ১ নম্বর৷ তার মানেই বুঝতে হবে সর্বশেষে রয়েছে বাংলা৷
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেও বলেছিলেন যে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির শিবিরে যোগ দিলে বাংলার জন্য বিশেষ প্যাকেজ চাইবেন। এদিন সেই বিশেষ প্যাকেজ এর কথা ফের একবার উল্লেখ করলেন তিনি। মন্তব্য করলেন, বাংলায় যদি বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে তাহলে রাজ্যের জন্য বিশেষ প্যাকেজ থাকবে। একইসঙ্গে রাজীবের তোপ, সাম্প্রদায়িকতা থেকে বড় বিষ প্রাদেশিকতা ছড়াচ্ছে তৃণমূল সরকার৷ যার ফল এই রাজ্যের ছেলেমেয়েদের অন্যরাজ্যে গিয়ে তার ফল ভুগতে হবে৷
জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”আমাদের কালো পতাকা দেখিয়ে স্বাগত জানানো হচ্ছে! বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল, তাই বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যত কালো পতাকা দেখাবে, তত আমাদের উপর আশীর্বাদ নেমে আসবে।”এদিন কড়া ভাষায় তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন রাজীব৷ একইসঙ্গে বারুইপুরের সভায় দাঁড়িয়ে ফের একবার রাজ্যে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার চাই বলে দাবি করলেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী৷