বঙ্গ রাজনীতিতে ফের চমক! তৃণমূলে যোগ দিলেন বাজপেয়ী জমানার মন্ত্রী

বঙ্গ রাজনীতিতে ফের চমক! তৃণমূলে যোগ দিলেন বাজপেয়ী জমানার মন্ত্রী

কলকাতা: বাংলার ভোট ময়দানে ফের চমক৷ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা৷ তাঁর যোগদানে দল উপকৃত হবে বলেই মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস৷  শনিবার দুপুরে ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন এই বর্ষীয়ান নেতা৷ নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন জনতা দলের হাত ধরে৷ পরে তিনি যোগ দেন বিজেপি’তে৷ অর্থমন্ত্রকের পাশাপাশি সামলেছেন বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্বও৷ একুশের ভোটে তিনি হতে চলেছেন তৃণমূলের অন্যতম পথ প্রদর্শক৷ 

আরও পড়ুন- সাতসকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা কলকাতায়! ব্রিজের উপর দুমড়ে মুচড়ে গেল প্রাইভেট কার

বেশ কিছু দিন ধরেই বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল তাঁর৷ এর পরেই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন যশবন্ত সিনহা৷ এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, যশবন্ত সিনহার মতো একজন নেতা আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন, এটা আমাদের কাছে অহংকার৷ শুধু বিহার নয়, সারা দেশে তাঁর অবদান এক অনবদ্য ইতিহাস৷ সুব্রতবাবু জানান, ১৯৬০ সালে আইএস পদে যোগ দিয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা৷ কাজের পাশাপাশি তিনি গার্ডেনিং করতেও ভালোবাসেন৷ সে কারণেই মজা করে বলা হত, তিনি এমন এক রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন, যাঁর প্রতীক পদ্ম৷ বুদ্ধিদীপ্ততার পাশাপাশি তাঁর বিনম্র আচরণ সকলকে মুদ্ধ করে৷ অন্যদিকে আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে সুদীপবাবু জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা হয়েছে যথবন্ত সিনহার৷ আসন্ন নির্বাচনে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে৷ 

তৃণমূলে যোগ দিয়ে যশবন্ত সিনহা বলেন, ‘‘আপনারা হয়তো ভাবছেন এই বয়সে পৌঁছে যখন রাজনীতি থেকে নিজেকে আলাদা করে নিয়েছিলাম, তখন ফের কেন সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছি৷ এর কারণ হল, দেশ একটা অদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে৷ এতদিন পর্যন্ত যে মূল্যবোধগুলিকে আমরা গুরুত্ব দিতাম, আজ সেই মূল্যবোধগুলি সংকটে পড়েছে৷ দেশে এখন গণতন্ত্র বিপন্ন৷ প্রতিটি গণতান্ত্রিক সংস্থা আজ দূর্বল হয়ে পড়েছে৷ খুব দুঃখের সঙ্গেই বলতে হচ্ছে, দেশের বিচার ব্যবস্থাও দুর্বল হয়ে পড়েছে৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট নয়৷ জনপ্রতিনিধিদের ২৪x৭ মানুষের জন্য দায়িত্ব পালন করতে হয়৷ কৃষকরা আজ বিপদের মুখে৷ কৃষকরা দিল্লির রাস্তায় বসে আছে৷ কিন্তু কারও তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই৷ শ্রমিকরা কী ভাবে ভিন রাজ্য থেকে পায়ে হেঁটে ঘরে ফিরছে তা সকলেরই জানা৷ স্বেচ্ছাচার চালাচ্ছে মোদী সরকার৷ এই সরকারকে বাধা দেওয়ার কেউ নেই৷’’

আরও পড়ুন- মোদীর সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন শিশির! আমন্ত্রণ জানাতে যাচ্ছেন লকেট

তিনি আরও বলেন, ‘‘শিক্ষা-স্বাস্থ্যে দুর্দিন চলছে৷ কিন্তু সরকারের কোনও চিন্তা নেই৷ শাসক দলের একটাই লক্ষ্য, যে কোনও উপায়ে ভোটে জয়লাভ করা৷ অটলজীর দলের সঙ্গে আজকের জমানার বিজেপি’র আকাশ-পাতাল পার্থক্য৷ উনি সকলকে নিয়ে চলেছেন৷ এখন সবাই বিজেপি ছেড়ে যাচ্ছে৷ অকালী দল, শিবসেনা সহ একাধিক দল বিজেপি ছেড়ে চলে গিয়েছে৷ তাই আজ শুধু ভোটের লড়াই নয়, দেশে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই৷’’    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *