দীঘা: ইতিমধ্যেই যশের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে বাঙালির বিশেষ পর্যটন কেন্দ্র দীঘা। সমুদ্রের জলে ভেসে গিয়েছে দীঘার একাধিক এলাকা৷ চারিদিকে শুধুই জল এবং ধ্বংসের অস্তিত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দীঘা। সকাল থেকেই জলের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ে ঝড়ের তাণ্ডব। আর এই প্রতিকূল অবস্থায় প্রাণে বাঁচতে ত্রান শিবিরের দিকে ছুটছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ২ ব্লকের এক যুবক। কিন্তু তার আগেই ঘটল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ত্রাণ শিবিরে পৌঁছনোর আগেই জলের তোড়ে ভেসে যান তিনি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাঁর নাম জানা যায়নি।
আরও পড়ুন- জলমগ্ন চেতলা! ভরা কোটালে আদি গঙ্গার জলই এখন চিন্তায় ফেলছে স্থানীয় মানুষকে
জেলা প্রশাসনের তরফে ওই যুবকের মৃত্যুর বিষয়ও নিশ্চিত করা হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ শুরু হয় যশের ল্যান্ডফল। এরপরেই দীঘা, মন্দারমণি থেকে সাগরের কপিল মুনি আশ্রমসহ বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। তবে প্রতি মুহূর্তে একটু একটু করে খারাপ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলি। ইতিমধ্যেই হাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর মিলেছে বাংলার উপকূল সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দীঘা, শঙ্করপুর, চাঁদিপুর, ফ্রেজারগঞ্জ বহু জায়গায় জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বহু মানুষেরই জমি ভিটে ভেসে গিয়েছে। এমনকি সময় বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাওয়ার জোর। তবে সেইভাবে কলকাতায় এখন তেমনভাবে ঝড় বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে বিকেলের পরে ঝড় হতে পারে। এমনকি কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনাসহ আরো বেশকিছু জায়গায় রয়েছে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সতর্কতা।