কলকাতা: চলতি বছরে বিধানসভা নির্বাচন জেতার পর রাজ্যের শাসক দল আর নিজেদের বাংলার সীমানায় আবদ্ধ রাখতে চাইছে না। ইতিমধ্যেই একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির এবং ত্রিপুরাতে পুরভোটে পর্যন্ত লড়াই করে ফেলেছে তারা। এরপর জাতীয় স্তরে নিজেদের সংগঠন আরও বাড়াতে সচেষ্ট তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রেক্ষিতে আজ কালীঘাটের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত। জানা গিয়েছে, দলীয় সংবিধান বদলাতে চলেছে ঘাসফুল শিবির।
এদিনের বৈঠকের শেষে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন সংবাদমাধ্যমে জানান, ওয়ার্কিং কমিটিতে এবার থেকে স্থান পাবেন অন্যান্য রাজ্যের নেতারা। সর্বভারতীয় স্তরে শক্তি বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসক শিবির। মনে রাখতে হবে যে আগামী বছর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন করেছে এবং তার পরবর্তী দু বছর পর রয়েছে লোকসভা ভোট। সেই প্রেক্ষিতে জাতীয় স্তরে সর্বশক্তিমান সংগঠন নিয়ে লড়াই শুরু করতে চাইছে ঘাসফুল বাহিনী এবং সেই প্রেক্ষিতেই আজ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বাহিনী। জানা গিয়েছে, জাতীয় স্তরে ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যই দলীয় সংবিধান পরিবর্তন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাড়ানো হবে ওয়ার্কিং কমিটি এবং সেখানে স্থান পাবেন বাংলার বাইরের রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। তবে কোন রাজ্য থেকে কোন নেতা ওয়ার্কিং কমিটিতে যোগ দেবেন সেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে যে আগামী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে রাজধানী দিল্লিতে।
আজ কালীঘাটের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন ত্রিপুরা থেকে শুরু করে মেঘালয় এবং উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। আগামী বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এদিনের আলোচনা শুরু হয় এবং সর্বভারতীয় স্তরে কী ভাবে এগোনো বাঞ্ছনীয় সেই সব ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।