ঠাকুরনগর: কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পৌঁছেছিল সিবিআইয়ের দল। অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা এবং শ্যালিকা মেনকাকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা। এই প্রসঙ্গে এদিন ঠাকুরনগরের জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিবিআই, ইডি সবাইকে পেছনে লাগিয়ে দিলেও তিনি মাথা নত করবেন না। কারণ তিনি কখনও মেরুদন্ড বিক্রি করবেন না। তাঁর কথায়, গলা কেটে দিলেও কাটা গলা থেকে একটাই কথা বেরোবে সেটা হল, ‘জয় বাংলা’।
এদিন জনসভায় দাঁড়িয়ে নাগরিকত্ব ইস্যু থেকে শুরু করে বহিরাগত ইস্যু সব ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। অভিষেক বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের জয় বাংলা স্লোগানকে বাংলাদেশের স্লোগান বলা হচ্ছে। এদিকে বিজেপি নিজে বলছে সোনার বাংলা গড়বে পশ্চিমবঙ্গকে। সেই সোনার বাংলা কোথাকার স্লোগান সেই প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। একইসঙ্গে দাবি করেন, নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে মতুয়াদের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপি তরফে বলা হচ্ছে আগে ভোট দিন তারপরে কাজ হবে, এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের সামনে কাজের খতিয়ান তুলে ধরেছেন পরপর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরো সংযোজন, আয়ুষ্মান ভারত-এর কথা বলছে বিজেপি যেটা সবাই পাবে না। বাড়িতে ফ্রিজ বা স্কুটার এবং স্মার্ট ফোন থাকলে এই প্রকল্প পাওয়া যাবে না কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী সকলের জন্য।
মতুয়াদের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গেও এদিন অভিষেক কেন্দ্রীয় সরকারকে এবং সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে বলেন, যদি মতুয়ারা অবৈধ হয়, তাহলে নরেন্দ্র মোদীও অবৈধ, অমিত শাহ অবৈধ, রাজনাথ সিংহ অবৈধ! একইসঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২৫০-এর বেশি আসন নিয়ে জিতবে বলে এদিন ফের দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। কয়লা পাচার সংক্রান্ত মামলায় এই জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে। সেই জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন প্রথম প্রকাশ্য জনসভায় যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।