কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির দাবি করে আসছে যে এবার তারা ২০০ আসনের বেশি পেয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে রাজ্যে। প্রত্যেক দফা নির্বাচনের পর বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের নিজস্ব পরিসংখ্যান ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন যে, ৫ দফা নির্বাচনের পর বিজেপি ১২০-র বেশি আসন পেয়ে গিয়েছে। বাকি দফায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাপিয়ে যাবে। এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের পর এই মুহূর্তে বিজেপির আসন সংখ্যা ১৬০ পেরিয়ে গিয়েছে।
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, যে হিসাবে বিজেপি ভোট চেয়েছিল ঠিক সেইভাবেই ভোট হয়েছে পশ্চিমবাংলায়। সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিয়েছেন এবং আসল পরিবর্তনের জন্য বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে তিনি জানান, ৬ দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে বাংলায়, ১৬০ টির বেশি আসন ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। একইসঙ্গে তিনি এটাও বলেন, নির্বাচন শেষ হওয়ার পর অনায়াসে ২০০ আসনের বেশি পেয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। দিলীপের আরও বক্তব্য, বাংলার মানুষ পরিবর্তনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছিল কিন্তু বিগত বছরগুলোতে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা অত্যাচারিত। আসলেই বাংলার মহিলারা আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যাচার সহ্য করতে পারছেন না সেই কারণে তারাই তৃণমূল কংগ্রেসের বিসর্জন দেবে বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের পর হঠাৎ নিজের ফেসবুক পোস্টে ‘খেলা শেষ’ লিখে একটি ফুটবল মাঠের ছবি পোস্ট করেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে স্পষ্ট লেখা ছিল, “বিজেপি উইন/টিএমসি লস্ট”। এখনো দুই দফায় নির্বাচন বাকি এবং ২ মে গণনা। তার আগেই বিজেপির তরফ থেকে যেভাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে ফলের ব্যাপারে তাতে অবশ্য ভাবে অনেকেই অবাক হচ্ছেন। আগের এক জনসভায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও ঠিক একই রকমের দাবি করেছেন। এবার দেখা যাক আদতে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফল কী হয়।