কাকদ্বীপ: আবারও মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী বাংলা। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগে এক মহিলাকে মাথা মুড়িয়ে গোপনাঙ্গে লঙ্কাগুঁড়ো দেওয়ার অভিযোগ গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। ৫ মহিলা সহ গ্রেফতার ৭।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার হারুউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার অন্তর্গত বউবাজার এলাকায়। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে প্রতিবেশী এক যুবকের বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছিল কিছুদিন আগে। কিন্তু সপ্তাহখানেক আগে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মহিলার প্ররোচনায় আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন ওই যুবক। এরপর গত ৩ তারিখ বিকেলে মৃত যুবকের পরিবার চড়াও হয় মহিলার বাড়িতে। অভিযোগ, বাড়ি থেকে বের করে এনে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে রেখে বিবস্ত্র করে মহিলার উপর চলে বেধড়ক মারধর। মুড়িয়ে দেওয়া হয় মাথার চুল। এরপর গোপনাঙ্গে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এখানেই থামেনি, বরং ওই মহিলার বিবস্ত্র অবস্থার ছবি তুলে তা ভাইরাল করে দেয় অভিযুক্তরা। এমনকী কয়েকজন প্রতিবেশী এই ঘটনার প্রতিবাদ করে বাধা দিতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়।
গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। তিনি কাকদ্বীপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এপ্রসঙ্গে নির্যাতিতার ভাই জানান, “আমাদের কাছে হঠাৎ করে ফোন আসে যে আমার দিদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই।” মানুষ এতটা নির্মম কী করে হতে পারে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। একইসঙ্গে, তার দিদির সঙ্গে যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন নির্যাতিতার ভাই।
এদিকে শুধুমাত্র পরকীয়ার সন্দেহের বশে ওই মহিলার উপর এমন নির্মমভাবে নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষ।