অর্থ বরাদ্দ না করেই কাজের বরাত, সার্কুলার ঘিরে বিতর্ক

কলকাতা: সামনে লোকসভা নির্বাচন। আর সেকারণে সব কাজের বরাত আগেভাগেই দিতে হবে। এমনকী অর্থের অভাব থাকলেও, সেই কাজ আগেভাগেই সারতে হবে। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার কমিশনার খলিল আহমেদ এই সার্কুলার জারি করেছেন। আর তাতেই নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে পুরসভার অন্দরে। নিয়মানুযায়ী, নির্দিষ্ট কোনও কাজ শুরুর আগে, কত অর্থ বরাদ্দ হবে, তা ঠিক হয়। সেই অর্থের

অর্থ বরাদ্দ না করেই কাজের বরাত, সার্কুলার ঘিরে বিতর্ক

কলকাতা: সামনে লোকসভা নির্বাচন। আর সেকারণে সব কাজের বরাত আগেভাগেই দিতে হবে। এমনকী অর্থের অভাব থাকলেও, সেই কাজ আগেভাগেই সারতে হবে। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার কমিশনার খলিল আহমেদ এই সার্কুলার জারি করেছেন। আর তাতেই নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে পুরসভার অন্দরে।

নিয়মানুযায়ী, নির্দিষ্ট কোনও কাজ শুরুর আগে, কত অর্থ বরাদ্দ হবে, তা ঠিক হয়। সেই অর্থের সংস্থানও রাখতে হয়। উল্লেখ্য, একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পর্যন্ত খরচ করার অধিকার থাকে বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার, ডিজি-দের। বেশি অঙ্কের টাকার কাজ হলে মেয়র পরিষদের বৈঠকে তা পাশ করাতে হয়। তবে বড় কাজের সব ফাইল পুর কমিশনারের স্বাক্ষর ছাড়া অনুমোদিত হয় না। তিনি অনুমোদন দেওয়ার পরে মেয়র সই করেন। তা ছাড়া, এসবের শুরুতেই দেখা হয়, ওই কাজের জন্য টাকা রাখা আছে কি না।

কিন্তু পুর কমিশনারের নয়া সার্কুলার অনুযায়ী, আগে কাজের বরাত, পরে অর্থের ভাবনাচিন্তা। এমন নির্দেশিকা রীতিমতো নজিরবিহীন। প্রশ্ন উঠেছে, অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত ছাড়াই কি কাজের বরাত দেওয়া যায়? কলকাতা পুরসভার এই পদ্ধতিতে যদি অন্যান্য পুরসভা-পঞ্চায়েতগুলি চলতে শুরু করে, তাহলে রাজ্য অর্থদপ্তরের সঙ্কট বাড়বে, আশঙ্কা প্রশাসনিক মহলের। যদিও কমিশনারের কথায়, নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × four =