আজ বিকেল: দীর্ঘ আন্দোলনের পর অবশেষে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিল নির্বাচন কমিশন৷ বুধবার শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের তরফে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কার্যালয়ে অ্যাডিশনাল চিফ ইলেক্টরাল আফিসার সঞ্জয় বসুর সঙ্গে দেখা করে একগুচ্ছ দাবি-দাওয়া পেশ করা হয়৷ ভোট-কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের তরফে আশ্বাস করা হয়৷ এদিন ঠিক কী কী দাবি তুলে ধরা হয়?
শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানান, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য বুথ পিছু প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে ছ’জন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী সহ অন্যান্য বাহিনী দিয়ে ভোটার ও ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে৷ স্পর্শকাতর বুথগুলিতে দ্বিগুণ হারে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবস্থা রাখতে হবে বলেও এদিন দাবি জানানো হয়৷
ভোট গ্রহণের শেষে ভোট বাক্স জমা দেওয়ার পর রিলিজ অর্ডার দিয়ে দিলেই নির্বাচন কমিশনের সমস্ত দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। ভোট গ্রহণের জন্য ভোট কর্মীদের বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার পর থেকে বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত তাঁর জীবনের সমস্ত নিরাপত্তার ভার নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে বলেও জানানো হয়৷
ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোট কর্মীদের যথাযথ নিরাপত্তাসহ থাকা, খাওয়া এবং শৌচালয়ের যথেষ্ট ব্যবস্থা রেখে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করতে হবে৷ প্রিজাইডিং অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে সেক্টর অফিসার বা রিটার্নিং অফিসার যথাযথ ভূমিকা পালন না করে প্রিজাইডিং অফিসারকে অনৈতিক কাজে বাধ্য বা প্ররোচিত করলে নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনকে তৎক্ষণাৎ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে কমিশনের কাছে দাবি পেশ করা হয়৷
শুধু মৌখিক আশ্বাস নয়, একজন ভোটকর্মী বাড়ি থেকে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছানো এবং ভোটিং মেটেরিয়ালস জমা দেওয়ার পর বাড়ি ফেরার জন্য উপযুক্ত যানবাহন যথেষ্ট পরিমাণে রাখতে হবে৷ ও ভোটকর্মীদের হতাহতের ঘটনায় তৎক্ষণাৎ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। যে কোন ভোটকর্মী অসুস্থ বা আহত হলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ সহ চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন কে নিতে হবে৷ প্রতিবন্ধীদের ভোট কর্মী হিসাবে নিয়োগ করে তাঁদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে বলেও এদিন দাবি জানানো হয়৷