কলকাতা: ডিসেম্বর, জানুয়ারি মাসে এইভাবে মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টি হয়তো কল্পনা করেনি বঙ্গবাসী। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে এই ধরণের আবহাওয়ার সম্মুখিন হতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। শুক্রবার দিনভর দক্ষিণবঙ্গের ১৫ টি জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বলে পূর্বাভাস ছিল হাওয়া অফিসের। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে শীত কি আর পড়বে না?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শনিবার থেকেই বেশি কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি কমতে শুরু করবে এবং ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বদলাতে শুরু করবে। তার মানে, শনিবারের পর থেকেই বঙ্গে আবার শীতের আমেজ তৈরি হবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এসেছে তার কারণেই রাজ্যে বৃষ্টি। কিন্তু আগামী শনিবারের পর থেকে তার প্রভাব আস্তে আস্তে কমবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া মহল। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার আকাশ পরিষ্কার হলে ফের জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা। তবে উত্তরবঙ্গে পারদ পতন শুরু হয়ে যাবে শুক্রবার থেকেই৷ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে শনিবার থেকে রাতের পারদ নামতে শুরু করবে৷
আবহাওয়া দফতর আরও বলছে, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ কলকাতাতেও আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকবে, যা এখন রয়েছেই। সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতও হতে পারে৷ তবে শনিবার রাতের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে। উল্লেখ্য, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হল ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ভারী ও ঠান্ডা হাওয়া। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবেই প্রতি বছর শীতকালে কাশ্মীর-সহ দেশের পাহাড়ি এলাকাগুলিতে তুষারপাত হয়ে থাকে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে বৃষ্টির জন্যও দায়ী এই ঝঞ্ঝা। তুষারপাত আর বৃষ্টির জেরে উত্তুরে বাতাস আরও কনকনে হয়ে ওঠে। কিন্তু ঝঞ্ঝা সক্রিয় থাকায় উত্তুরে বাতাস বইতে পারে না।