কলকাতা: ইতিমধ্যে দেড়শ বছরের কলকাতা বন্দরের নাম পরিবর্তন করেছে বিজেপি সরকার। এবার কি ভিক্টোরিয়ার পালা। তেমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ স্বামী। তিনি দাবি করেছেন, ১৮৫৭ সালে ঝাঁসির রানি লক্ষীবাইয়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেই ভারতের দখল নেন রানি ভিক্টোরিয়া। তাই তাঁর নামে স্থাপত্য থাকার কোনও প্রয়োজন নেই বলেও মত সুব্রহ্মণ স্বামীর। তাঁর মতে লক্ষীবাইয়ের নামেই হোক এই স্থাপত্য।
কলকাতা বন্দরের ১৫০ বছর উপলক্ষে দুই দিনের সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলকাতা বন্দরের নাম ঘোষণার সময় তিনি বলেন, বাংলার শ্যামাপ্রসাদ বিনিয়োগের সূচনা করেছিলেন। তিনি বাংলার শিল্পের পথিকৃত। বাংলার এই বীরকে উপযুক্ত সম্মান দিতেই তাঁর নামে কলকাতা বন্দরের নামকরণ করতে চান।
এরপরেই মোদির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে টুইট করেন সুব্রহ্মণ স্বামী। তিনি জানান, মোদির সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন। টুইটারে তিনি লেখেন, 'আমার মনে হয় ইতিহাস বদলানোর সময় এসেছে। আমার মনে হয়, এবার ভিক্টোরিয়ার নাম বদল করে রাণি ঝাঁসি সম্পর্ক মহল রাথা উচিত। কারণ তাঁকে সরিয়েই ভিক্টোরিয়া ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং ৯০ বছর ধরে লুঠ করে ভারতকে।' সুব্রহ্মণ স্বামীর এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াস আসলে রানি ভিক্টোরিয়ার স্মৃতি সৌধ। ১৯০৬ সালে এই স্মৃতিসৌধের কাজ শুরু হয়। ১৯২১ সালে এই কাজ শেষ হয়। সেই সময়রের প্রিন্স অফ ওয়েলস এই স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করেন। এখানে একটি সংগ্রহশালা রয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আদৌকি কোনও স্মৃতিসৌধের নাম পরির্তন করা যায়।