এবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ‘খেলা হবে’! হুঙ্কার বাম ছাত্র-যুবদের

এবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ‘খেলা হবে’! হুঙ্কার বাম ছাত্র-যুবদের

কলকাতা: শিক্ষার উন্নয়ন এবং কাজের দাবিতে আজ নবান্ন অভিযান করেছিল এবং বাম সহযোগী দলসমূহ। ছাত্র-যুব সংগঠন সমূহের এই নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে আজ ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় শহরে। ব্যাপক লাঠিচার্জ করা হয় বিক্ষোভকারীদের ওপর, একই সঙ্গে কাঁদানে গ্যাস থেকে শুরু করে জলকামান চালানো হয়। সব মিলিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ইতিমধ্যেই হাসপাতলে ভর্তি বেশ কয়েকজন। এই প্রেক্ষিতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে ‘খেলার’ হুংকার দিয়ে রাখলো বাম-যুব সংগঠন। ইতিমধ্যেই আগামীকাল ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ্ ডাকা হয়েছে তাদের তরফে। সেই বনধ্ সফল করার জন্য তারা সবকিছু করবেন বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বাম-যুব ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রীর এখন যে নতুন একটা প্রকল্প চলছে দুয়ারে সরকার, তার প্রেক্ষিতে আগামীকাল কালীঘাটের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দুয়ারে বাম-ছাত্র যুবরা পৌঁছে সেখানে ক্রিকেট খেলবে। আগামীকাল ধর্মঘটের দিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির একদম দুয়ারের ক্রিকেট খেলা হবে, এইরকমই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় তাদের তরফে। এই প্রেক্ষিতে তাঁদের আরও হুঁশিয়ারি, এই খেলা তত দিন চলবে যত দিন না পর্যন্ত বিধানসভা নির্বাচন শেষ হচ্ছে আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরো মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। 

স্কুল-কলেজ না খুলার বিষয় নিয়ে এদিন রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তারা আরো বলেন, অনলাইন ক্লাস চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে গরীব এবং প্রান্তিক ছাত্র-ছাত্রীদের বঞ্চিত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে রাজ্য সরকার। আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি এখানে বলবৎ করা হয়েছে নিজেদের মতো করে। এর থেকে প্রমাণিত যে বর্তমান রাজ্য সরকারের মূল শত্রু এখনো বামেরা। তারা বিজেপিকে নয় বামেদের ভয় পায়। এই অনলাইন ক্লাস চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে পড়ুয়াদের অধিকাংশ পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আজ স্কুল কলেজ খোলার দাবি নিয়েও মিছিল করা হয়েছিল। তাই আগামীকাল অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে যে তারা যেন ধর্মঘট সমর্থন করেন এবং এই সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন, এমনই বক্তব্য তাদের।

এদিকে, কলকাতা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার সদর শুভঙ্কর সিনহা রায় জানিয়েছেন, বামেদের ডাকা আগামীকালের ধর্মঘট মোকাবিলায় প্রশাসন সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে শহরের বিভিন্ন জায়গায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হবে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কুইক রেসপন্স টিম মোতায়েন করা হবে। মেট্রো এবং পূর্ব রেলের বিভিন্ন স্টেশনের পাশাপাশি নজরদারির জন্য জেলা পুলিশও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করবে।জোর করে অবরোধ, দোকানপাট বন্ধ করার চেষ্টা করা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − two =