জলপাইগুড়ি: এলাকাটির নাম ভালবাসার মোড়৷ স্ত্রীকে ফিরে পেতে সেখানেই ধর্নায় বসেছিলেন স্বামী৷ হাতে ছিল নিজেদের দাম্পত্যের একাধিক ছবি সম্বলিত একটি পোস্টার৷ যদিও গল্পের এন্ডিং ভাল ছিল না৷ স্ত্রীর পাল্টা অভিযোগের জেরে অভিযুক্ত স্বামীকে লকআপে নিয়ে গেল পুলিশ৷ ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নিউ জলপাইগুড়ির দেবিডাঙ্গা এলাকায়৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মনোজ মণ্ডল। বাড়ি, দেবিডাঙ্গা এলাকায়৷ পুলিশের কাছে মনোজের দাবি, ভালবাসা মোড় সংলগ্ন এলাকার একটি তরুণীর সঙ্গে গত সাত বছরে তাঁর ভালবাসার সম্পর্ক৷ পরবর্তীতে বিয়েও হয় তাঁদের৷ কিন্তু বিয়ের পর পরই স্ত্রীকে নিয়ে চলে যায় তার পরিবার। তার পর থেকেই স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো নিয়ে নানান টালবাহানা যুবতীর পরিবারের।
অবশেষে স্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে স্বামী মনোজ৷ হাতের পোস্টারে তাঁদের ঘনিষ্ঠতার একাধিক ছবি৷ স্বামী মনোজ মণ্ডল জানান, ‘‘একমাস আগে তরুণীর স্বইচ্ছায় মন্দিরে তাদের বিয়ে হয়। তার পর থেকে সে তার বাপের বাড়িতেই। বহু চেষ্টা করেও তাকে শ্বশুরবাড়িতে আনা যায়নি।’’
যদিও তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মনোজকে পাকড়া করে নিয়ে যায়৷ পুলিশের কাছে পাল্টা অভিযোগে তরুণী জানান, ‘‘তাদের দুজনের সম্পর্ক ছিল৷ কিন্তু তাঁকে ফুঁসলিয়ে বলপুর্বক বিয়ে করে যুবকটি। সে বর্তমানে তার সঙ্গে কোনরুপ সম্পর্ক রাখতে চান না।’’ এরপরই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে৷ ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য৷