বালুরঘাট: শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয়ের দাবি নিয়ে ধরনায় বসলেন বধূ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের অভিযাত্রীপাড়ার বাসিন্দা। বিয়ের পর মাত্র নয় মাসে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের শিকার বধূকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন প্রতিবেশীরাও।
ভালোবাসা রক্ষার জন্য প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার ধরনার কথা শোনা গেছে। এবার শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে না পেরে ধরনায় বসলেন বধূ। জানা গেছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ধুমধাম করে বালুরঘাট শহরের অভিযাত্রী পাড়ার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষিকা অনিতা বিশ্বাস কর্মকার তাঁর দুবাইয়ে কর্মরত একমাত্র ছেলের বিয়ে দেন৷ পাত্রী ইটাহারের বাসিন্দা অসীম আর্চাযের একমাত্র মেয়ে সুস্মিতা৷ সুস্মিতার স্বামী বিয়ের সাতদিনের মাথায় দুবাই ফিরে যান৷
সুস্মিতার বাবা অসীম আর্চাযের অভিযোগ, এরপর থেকেই সুস্মিতার শ্বাশুড়ি তার ওপর অত্যাচার ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। পাশাপাশি তার মেয়ের সঙ্গে তার স্বামীর কথাবার্তা বলা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন। কিছুদিন পর সুস্মিতা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মালদায় তাঁর মাসির বাড়িতে চলে যান। সুস্মিতার শ্বশুর একদিন তাঁদের ফোন করে জানায়, তাঁরা চিক্যিসার জন্য কলকাতা যাচ্ছেন৷ কিন্তু সুস্মিতা মালদা থেকে বালুরঘাটে ফিরে এসে দেখেন বাড়ি তালা বন্ধ৷ তালা ভেঙে বাড়িতে ঢোকেন তিনি৷
কয়েকদিন পর শ্বশুর শ্বাশুড়ি ফিরে এসে তাঁকে অত্যাচার করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। বুধবার সুস্মিতা শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে গেলে শ্বশুর শ্বাশুড়ি বাড়ির গেটে তালা দিয়ে দোতলায় চলে যায় বলে অভিযোগ৷ এরপরই শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে দেওয়ার দাবিতে ধর্নায় বসতে হয় সুস্মিতাকে৷ জানিয়েছেন তাঁর বাবা৷
সুস্মিতার ওপর শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তাদের প্রতিবেশীরা। এক প্রতিবেশী জানান এবিষয়ে কথা বলতে গেলে তাকেও আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গেট বন্ধ থাকায় এবং বারবার দোতলায় যোগাযোগ করার চেষ্টা চালানো হলেও ওই শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের মতামত জানা সম্ভব হয়নি।