আইনজীবী হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত স্ত্রী অনিন্দিতা

 ২০১৮ সালের নভেম্বরে নিউটাউনে নিজের ফ্ল্যাটেই খুন হন আইনজীবী রজত দে। চৌত্রিশ বছর বয়সী লম্বা চওড়া দেহের রজতকে মুখে চাদর চাপা দিয়ে, মোবাইল চার্জারের তার গলায় জড়িয়ে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্ত্রী অনিন্দিতা। এরপর তদন্তে নেমে বিধাননগর পুলিশের হাতে উঠে আসে ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ লোপাটের মত তথ্য। সেবছরই ১ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়  অনিন্দিতাকে।

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: আইনজীবী রজত দে হত্যা মামলায় অবশেষে  দোষী সাব্যস্ত হলেন তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা দে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে নিউটাউনে নিজের ফ্ল্যাটেই খুন হন আইনজীবী রজত দে। নিহত রজত বাবুর পরিবারের তরফে সরকারি আইনজীবী বিভাস চ্যাটার্জী জানিয়েছেন, বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়েছিলেন  অনিন্দিতা। নিজেও পেশায় আইনজীবী ছিলেন তিনি। দিনের পর দিন বিবাহ বিচ্ছেদের দাবিতে স্বামীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন তিনি।  রজত বাবু স্ত্রী-র এই দাবি মেনে নিতে পারেননি। আর তারই মূল্য দিতে হয় জীবন দিয়ে।

চৌত্রিশ বছর বয়সী লম্বা চওড়া দেহের রজতকে মুখে চাদর চাপা দিয়ে, মোবাইল চার্জারের তার গলায় জড়িয়ে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্ত্রী অনিন্দিতা। এরপর তদন্তে নেমে বিধাননগর পুলিশের হাতে উঠে আসে ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ লোপাটের মত তথ্য। সেবছরই ১ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়  অনিন্দিতাকে। এরপর এপর্যন্ত চলে দীর্ঘ শুনানি পর্ব। একত্রিশ জন সাক্ষী ছিলেন এই শুনানিতে। অবশেষে সোমবার স্বামীকে হত্যার দায়ে অনিন্দিতাকে দোষী সাব্যস্ত করল বারাসাত আদালত।

 

ছেলেকে খুন করার অভিযোগে পুত্রবধূ অনিন্দিতা দোষী সাব্যস্ত হতেই আনন্দে কেঁদে ফেললেন  রজত দে'র বাবা সমীর কুমার দে। ছেলের এই হত্যার জন্য অঅনিন্দিতার চরমতম সাজাই  প্রাপ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। যদিও আদালতের রায় সঠিক নয় বলেই দাবি অনিন্দিতার আইনজীবী জ্যোতির্ময় অধিকারীর। অনিন্দিতার ন্যায় বিচারের জন্য তাঁরা হাইকোর্ট যাবেন বলেও জানান। ১৬ সেপ্টেম্বর অনিন্দিতার সাজা ঘোষণা করবে আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *