নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এত চিন্তা কেন? প্রশ্ন তুললেন খোদ নব্য বিজেপি নেতা৷ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও ব্যাক্তি বিশেষ এর নাম ধরে কাউকে আক্রমণ করেননি তিনি। তাহলে তাকে ঘিরে এত প্রশ্ন কেন? এত নিশানা কেন? প্রশ্ন তুললেন সদ্য বিজেপিতে পা রাখা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসকদলের কাছে তাঁর প্রশ্ন
তাকে নিয়ে এত চিন্তা কেন?
একইসঙ্গে রাজীবের কথায়, গণতন্ত্রের রাজনীতি করার অধিকার সকলের রয়েছে৷ গণতন্ত্রে একজন মানুষ যে কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে, সভা-সমিতিতে, মিছিলে যোগদান করতে পারেন। সেই স্বাধীনতা তার রয়েছে। সোমবার হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের দলীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীব বলেন, কেউ যদি ভেবে নেয় বিরোধী দলের কোনো কর্মী, সমর্থক তাদের প্রতিপক্ষ নয়, তাদের রাজনৈতিক শত্রু তাহলে তা ভুল৷ এই জিনিস বাংলার কৃষ্টি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না। তিনি আরও বলেন, অতীতে বামপন্থীরা এই ভুল কাজ করে তাদের ভুগতে হয়েছে। আজকে শাসক দল যে কাজ করছে তারও আমি তীব্র নিন্দা করছি।”
“রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দল ছেড়ে দেবার পর মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবার পর তাকে বলা হয়েছিল বট গাছের ঝরা পাতা। তাকে বলা হয়েছিল সমুদ্রের এক ঘটি জল। তারা আজ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এত উতলা কেন ? রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এত চিন্তা কেন ? আমি তো কোনও নেতৃত্বের নাম নিয়ে কোনো মন্তব্য করিনি ? ব্যক্তি আক্রমণে আমি বিশ্বাসী নই।” বলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর পর রাজীব বিজেপিতে যাওয়াতে তাকেও দেওয়া হয়েছে গদ্দার তকমা, তাঁর চাটারড বিমানে দিল্লি উড়ে যাওয়া নিয়ে তোপ দেগেছেন খোদ মমতা। একইসঙ্গে শাসকদলের দাবি, এতে তাদের কিছুই যায় আসে না। যদি সত্যিই তাই হয় তাহলে কেন বারবার নিশানা করা হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রীকে? প্রশ্ন তুলেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ