কীসের ভিত্তিতে ভোট ৩ সপ্তাহ পিছনো হল? কমিশনকে নোটিশ

কীসের ভিত্তিতে ভোট ৩ সপ্তাহ পিছনো হল? কমিশনকে নোটিশ

94a3b3d7a62e7ba0414964f80234cef3

কলকাতা: চলতি মাসের ২২ তারিখ চার কেন্দ্রের পুরভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে তিন সপ্তাহ। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কথা তুলে বারবার ভোট পিছতে দাবি জানাচ্ছিল বিরোধীরা। এমনকি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও পরোক্ষে ভোট পিছনোর দাবি তোলেন। অবশেষে সেই ভোট পিছিয়েছে। কিন্তু কেন হঠাৎ তিন সপ্তাহ পিছনো হল ভোট, কোন যুক্তিতে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রেক্ষিতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

চার পুরনিগমের ভোট পিছিয়েছে ৩ সপ্তাহ। কিন্তু কোন যুক্তিতে ৩ সপ্তাহ ভোট পিছনো হল, কমিশনের যুক্তির ভিত্তি কী এবং ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ ভোট পিছনো হল না কেন, এইসব প্রশ্ন তুলেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অবমাননার নোটিশ পাঠালেন জনস্বার্থ মামলাকারী বিমল ভট্টাচার্য। তিনি জানান, কলকাতা হাইকোর্টের পরামর্শ ছিল ন্যুনতম ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ ভোট পিছনোর। হাইকোর্টেের নির্দেশের পরেও কেন তাকে মান্যতা দেয়নি কমিশন, এই প্রশ্ন তুলেই হাইকোর্ট অবমাননার নোটিশ কমিশনের কাছে গিয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিশন নোটিশের জবাব না দিলে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতি কারণে হাইকোর্টের নির্দেশের পর আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর পুরনিগমের ভোট ২২ জানুয়ারি পরিবর্তে পিছিয়ে স্থির হয় ১২ ফেব্রুয়ারী।

আগেই আদালতে একটি প্রশ্ন উঠেছিল যে, নির্বাচন পিছনোর ক্ষমতা কার হাতে? রাজ্য সরকার না রাজ্য নির্বাচন কমিশনের৷ রাজ্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিল, ভোট ঘোষণা হয়ে গেল ভোট পিছোনের ক্ষমতা থাকে একমাত্র কমিশনের হাতে৷ আবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ভোট করানো সম্ভব নয় বলে রাজ্য ঘোষণা করলে একমাত্র সে ক্ষেত্রেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতা থাকে৷ পদে আদালত এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলে কমিশনকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *