বাংলায় জঙ্গি কার্যকলাপ থেকে নজর ঘোরাতে কৃষি বিলের বিরোধিতা তৃণমূলের: শমীক

বাংলায় জঙ্গি কার্যকলাপ থেকে নজর ঘোরাতে কৃষি বিলের বিরোধিতা তৃণমূলের: শমীক

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসাত: জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় বাংলা! রাজ্যে বেড়ে চলা জঙ্গি কার্যকলাপ থেকে নজর ঘোরাতে কৃষি বিলের বিরোধিতায় করা হচ্ছে৷ বারাসাতে বিজেপি জেলা পার্টি অফিসে সাংসাদিক বৈঠক করে কৃষি বিল নিয়ে নয়া ব্যাখ্যা দিলেন শমীক ভট্টাচার্য৷ রাজ্যে কৃষি বিল বিরোধিতার সঙ্গে বাংলায় বাড়তে থাকা জঙ্গি তৎপরতা যোগযোগ খুঁজে পেয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন এই বিধায়ক৷ কৃষি বিলের বিরোধিতার মাধ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলে বলেও দাবি করেছেন শমীক৷ নিজেদের অস্তিত্ব হারিয়ে একজোট হয়ে মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টায় তৃণমূলের সঙ্গে বামেরা হাত মিলিয়ে বলেও দাবি এই বিজেপি নেতার৷ 

কেন্দ্রের আনা বিল আদতে কৃষক-বান্ধব বিল৷ এই বিল সর্বতোভাবেই কার্যকর করা হবে৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষক ও সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে৷ সেই ভুল শুধরে নিতে বিজেপি কৃষক ও সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে বোঝাবে বলেও দাবি বিজেপি নেতা শমীকের৷ তাঁর মতে, কৃষি বিল বিরোধিতা আদতে লোকদেখানো৷ তাঁর যুক্তি, পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের সেফ প্যাসেজ৷ দুর্ভাগ্যজনকভাবে সমস্ত নাশকতায় জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গের নাম৷ বিজেপি নেতা শমীকের অভিযোগ, জঙ্গি কার্যকলাপ দমনে যথোপযুক্ত ভূমিকা নিচ্ছে না তৃণমূলের সরকার৷ বেড়ে চলা জঙ্গি কার্য কলাপ থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে কৃষক-বান্ধব কৃষি বিলের বিরোধিতায় নেমেছে শাসকদল তৃণমূস৷ আর তাদের সহযোগিতা করছে বাম-কংগ্রেস৷ শমীকের মতে, রাজ্যে এখন বিজেপি বিরোধিতায় একজোট হয়েছে চলছে৷ অস্তিত্ব সংকটে ভোগা তৃণমূল-সিপিএম ও কংগ্রেস একে অন্যের হাত মিলিয়ে৷ তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেস যত জোট বাঁধবে, ততই লাভ হবে বিজেপির৷

বিজেপি নেতা তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেসকে এক বন্ধনীতে ফেলে আক্রমণ করলেও কৃষি বিল বিহার ভোটের আগে বুমেরাং হবে না তো? ঘুম ছেড়েছে গেরুয়া নেতাদের৷ একই ভাবে, নাগরিক বিল থেকে শ্রম ও কৃষি বিল বাংলার রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে না তো? সাবধানে পা বাড়াচ্ছে বঙ্গ বিজেপি শিবির৷ একদিকে যেমন বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল লাগাতার আক্রামণ করছে, ঠিক তেমনই বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন-প্রচার কর্মসূচিতে নেমেছে সিপিএম-কংগ্রেস৷ কেননা, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মতো রাজ্যেও তৃণমূল সরকারও কৃষিতেও বেসরকারি সংস্থাকে দরাজ অনুমোদন দিয়েছে বলে অভিযোগ৷ আর এই নিয়ে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে বাম-কংগ্রেস৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + ten =