চোপড়া: উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজীগজ গ্রামে গরুচোর সন্দেহে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি পাইপগান এবং এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রবিবার অধিক রাতে এক দল দুষ্কৃতী কাজীগজ গ্রামে গরু চুরি করতে গ্রামে ঢোকে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। গ্রামবাসীরা টের পেলে তাদের ধাওয়া করে। দুষ্কৃতীরা পালাতে গিয়ে একটি গর্তে পড়ে যায়। প্রান বাঁচাতে দুষ্কৃতীরা গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। সেখানেই গরুচোর সন্দেহে এক দুষ্কৃতীকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দুষ্কৃতীর৷
খবর পেয়ে চোপড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি দেশী পাইপগান, এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ। মৃত ব্যক্তির এখনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে বারংবার গনপিটুনির ঘটনা সামনে আসায় উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন৷
ক’দিন আগে কলকাতার মানিকতলা এলাকায় চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল৷ একই ঘটনা এর আগে ঘটেছিল তারাতলা এলাকায়৷ এবার চোপড়া৷ তাহলে কি আইনের প্রতি মানুষের আস্থা কমছে? নাকি বেড়ে চলা অসামাজিক কার্যকলাপের জেরেই মানুষ হাতে আইন তুলে নিচ্ছেন? পরিস্থিতির জন্য কি দায়ী পুলিশি নিস্ক্রিয়তা? উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন৷