কলকাতা: মার্চ মাসের ৩ তারিখ। অথচ রাজ্যের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা পাননি বেতন। এই নিয়ে চলছে জল্পনা। যদিও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়টি জানতেন না বলে সাফ বলেছেন। তড়িঘড়ি বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। শিক্ষকদের 'বেতন বঞ্চনা' থেকে অব্যাহতি দেবে গেরুয়া শিবির, এমনই শোনা গিয়েছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে৷ ফেব্রুয়ারির বেতন সমস্যা নিয়ে একই কথা জানাল বিজেপি টিচার্স সেল৷ বেতন সমস্যাকে নির্বাচনের হাতিয়ার করে বিজেপিকে সোনার বাংলা গড়ে তোলার সুযোগ চাইছে বিজেপি টিচার্স সেল৷
শিক্ষকদের বেতন নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে যতই 'প্রতিশ্রুতি' দেওয়া হোক না কেন, কার্যক্ষেত্রে যে বেতন সমস্যা তাঁদের মেটেনি, এমনই অভিযোগ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর একাংশের। এবার সেই সমস্যাকেই অস্ত্র বানিয়েছে বিজেপি টিচার্স সেল। ১ মার্চ শহিদ মিনারের মঞ্চ থেকে অমিত শাহের 'সোনার বাংলা গড়ার' প্রসঙ্গ তুলে তারা নির্বাচনী প্রচারও শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে সেই প্রচারমূলক পোস্ট। সেখানে লেখা রয়েছে, 'বিজেপি টিচার্স সেলের পক্ষ থেকে আমরা বর্তমান রাজ্য সরকারের কাছে দাবি রাখছি তারা যদি শিক্ষকদের বেতন সঠিক সময়ে দিতে না পারে, তাহলে তারা যেন সরকার থেকে পদত্যাগ করে।
অমিত শাহ কলকাতায় শহীদ মিনার চত্বরে বলে গেছেন বিজেপি রাজ্যে পাঁচ বছর সরকার চালানোর সুযোগ পেলে তারা পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। তাই বর্তমান দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল সরকারের উচিত সরকার থেকে পদত্যাগ করে জনগণের বিপুল সমর্থনে বিজেপিকে সোনার বাংলা গড়ে তোলার সুযোগ করে দেওয়া।' বিজেপি টিচার্স সেলের রাজ্য কনভেনার দিপল বিশ্বাস বলেন, রাজ্য সরকার গর্ব করে বলত, তারা শিক্ষকদের মাস পয়লা বেতন দেয়। তারাই এখন শিক্ষকদের বেতন নির্ধারিত দিনে দিতে পারছে না। যদিও এই বিষয়ে কোনও খবর ছিল না শিক্ষামন্ত্রীর কাছে, ২ মার্চ এমনই জানিয়েছেন তিনি। অবিলম্বে এই সমস্যা মেটানোর নির্দেশও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।