কলকাতা: মন্ত্রীর ফেসবুক লাইভ ঘিরে শনিবার সকাল থেকে জল্পনা ছিল বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে৷ তাঁর সঙ্গে বর্তমানে দলের সম্পর্ক যে খুব ভালো যাচ্ছে না তা সকলেই জানে৷ জল্পনা ছিল সেই নিয়েই এদিন ফেসবুক লাইভে বোমা ফাটাতে পারেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু কোনও বিস্ফোরক মন্তব্য না করলেও ফেসবুক লাইভে এসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ইঙ্গিতপূর্ণ কিছু প্রশ্ন করেন তিনি৷ একইসঙ্গে স্পষ্ট কথায় বুঝিয়ে দেন যে তার নানা কাজ করতে গিয়ে দলের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন তিনি৷ এদিন লাইভে নিজের বক্তব্য বলার পর নেটিজেনদের কমেন্ট পড়েন মন্ত্রী৷
সেখানেই একজন নেটিজেন কমেন্ট করেন ভোটের আগে নাটক কেন? সঙ্গে সঙ্গে তার স্পষ্ট জবাব দেন মন্ত্রী৷ জানিয়ে দেন কোনও নাটক করছেন না তিনি৷ রাজীবের কথায়, এর আগেও কোনওরকম বেগতিক পরিস্থিতি দেখলে মুখ খুলেছেন তিনি৷ আজ তা প্রথম নয়৷ একইসঙ্গে তিনি বলেন, যারা তাকে ব্যক্তিগতভাবে ফলো করে থাকেন তারা এইবিষয়টি সম্পর্কে অবগত৷ রাজীব বলেন, আজ অবধি যখনই কিছু বলেছি দলের মঙ্গলের জন্যই বলেছি৷ তবে নেটিজেনের এহেন প্রশ্নে বিব্রত হতে দেখা যায়নি মন্ত্রীকে৷ চাইলে তিনি এই প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতেই পারতেন৷ তবে তা না করেন স্পষ্টভাবে তার উত্তর দেওয়াকেই শ্রেয় বলে মনে করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷
রাজীব মন্তব্য করেন, অনেক সময় তার কোনো বক্তব্য অন্যভাবে অন্যজনের কাছে ব্যক্ত করা হয়, সে ব্যাপারে তখন অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু যখন তিনি কোন কাজ করেন বা নিজের বক্তব্য রাখার চেষ্টা করেন তখন সেই নিয়ে আলোচনা হয় না। তার কথায়, দল যেটুকু বলে দেবে সেটুকুই কি করতে হবে, নিজের একটুও স্বাধীনতা কি থাকবে না। এমনই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এদিন রাজীব পরিস্কারভাবে জানান, তিনি একজন ইতিবাচক মানুষ৷ পিছনে ফিরে তাকানোর কথা তিনি কোনওদিনও ভাবেন না৷ জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি এমন কিছু করবেন না যাতে মানুষ আঘাত পায় বা দুঃখ পায়৷ গুঞ্জন ছিল, তৃণমূলের প্রতি বেড়ে চলা ক্ষোভের জেরে শুভেন্দুর পথেও হাঁটতে পারেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে সেরকম কিছু ভবিষ্যতে তিনি করবেন কিনা তা স্পষ্ট করেননি মন্ত্রী৷ তবে তার এই লাইভের পর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন মানুষের কাছে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন মন্ত্রী৷ একইসঙ্গে স্পষ্ট করলেন দলের প্রতি তার ক্ষোভের কথা৷