কলকাতা: আমজনতা থেকে অভিনেতা-মন্ত্রী, লকডাউনে কাউকেই রেহাই দেয়নি সিইএসসি’র বিদ্যুৎ বিল৷ করোনা আবহে সিইএসসি’র বিদ্যুৎ বিলের অঙ্ক দেখে ঘুম ছুটেছে বহু গ্রাহকেরই৷ কিন্তু এই দুর্দিনে এমন অস্বাভাবিক বিল হল কি করে? তারই সাফাই দিল সিইএসসি৷ সংস্থার তরফে জানানো হল, লকডাউনের জেরে গত দু’মাস ধরে মিটার রিডিং করা যায়নি৷ আর তার জেরেই এই পরিস্থিতি৷
সিইএসসি’র দাবি, কোভিড পরিস্থিতিতে গত দুই মাস যা বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে তার চেয়ে কম বিল পাঠানো হয়েছিল৷ তবে এই মাসে যত বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে তার সঙ্গে গত দু’মাসের অনাদায়ী পাওনা যোগ করা হয়েছে৷ সিইএসসি’র এক কর্তা বিল ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, বিদ্যুৎ খরচটা গরম কালের হলেও, বিলিংটা হয়েছিল শীতকালের গড়ে৷ এর জন্য আগের বিলের অঙ্কটা কম ছিল৷ তবে সিইএসসি’র নতুন বিলে যারপরনাই মুশকিলে পড়েছে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তরা৷
সিইএসসি’র এক আধিকারিক জানান, এই বিল মেটাতে সমস্যার পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে৷ তাঁদের কথা ভেবে তিনটি কিস্তিতে বিল পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া হবে গ্রাহকদের৷ বিল পেমেন্টের ডিউ ডেটগুলোও বাড়িয়ে দেওয়া হবে৷ বলা হয়েছে, গ্রাহকরা ইচ্ছা করলে কিস্তির সুবিধা নিতে পারবেন৷ প্রথমে ৫০ শতাংশ এবং পরের দু’মাস ২৫ শতাংশ করে দিতে হবে৷ স্ল্যাবের সমস্ত সুবিধা বিলে দেওয়া হয়েছে বলেও গ্রাহকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে৷
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষই৷ আবার অনেকেই হ্রাস পেয়েছে উপার্জন৷ এই অবস্থায় মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল দেখে মাথায় হাত পড়েছে সাধারণ মানুষের৷ বিলে জল মেশানো হয়েছে বলেও অনেকে দাবি তুলেছে৷ অবশ্য সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন সিইএসসির সাউথ ওয়েস্ট রিজিয়নের ডিজিএম জয়দীপ গুহ৷ তিনি বলেন, “মার্চ মাস থেকে লকডাউনের জেরে মিটারের রিডিং করা যায়নি৷ মে মাস পর্যন্ত বিগত ছ’মাসের অ্যাভারেজ মিটার রিডিং দেখে বিল পাঠানো হয়েছে। জুন মাস থেকে মিটার রিডিং নেওয়া হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, অ্যাভারেজ মিটারের থেকে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে। সেই বাড়তি ব্যবহৃত বিদ্যুতের খরচ এই মাসে যুক্ত করা হয়েছে।’’