কলকাতা: শুক্রবার ভরদুপুরে পার্ক সার্কাসে ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর ঘটনা। বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে আচমকা এক পুলিশ কর্মী রাস্তায় দিকে এলোপাথারী গুলি ছুড়তে শুরু করেন। সেই গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। অন্যদিকে এক বাইক চালকের পিঠেও গুলি লেগেছে। পরে পুলিশ কর্মী নিজেও আত্মঘাতী হন। কিন্তু তিনি কেন এমন করলেন তা কিছুতেই বুঝতে পারছে না পরিবার। তারা এখন পুরোপুরি অন্ধকারে।
আরও পড়ুন- হাইকোর্টের রায় মেনে ডিএ প্রদানে দাবি উঠল আবার, বিক্ষোভে STEA
আত্মঘাতী হওয়ার আগে যিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি হলেন চোডুপ লেপচা। কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর পঞ্চম ব্যাটালিয়নের কর্মী ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই কলকাতায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন লেপচা। ইতিমধ্যেই তাঁর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ তো বটেই, পুলিশের তরফ থেকেও এই নিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁর পরিবার বলছে অন্য কথা। দীর্ঘ দিন আগেই চোডুপের মা-বাবা মারা গিয়েছেন। দাদা-বৌদির সঙ্গে থাকতেন তিনি। তারা জানাচ্ছেন, তিনি মানসিক ভাবে একদম সুস্থ ছিলেন। সেই রকম কোনও লক্ষণ তাঁর মধ্যে দেখা যায়নি কলকাতা আসার আগে পর্যন্ত। কিন্তু হঠাৎ তাঁর কী হল, তা কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।
পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন আউটপোস্টে নিরাপত্তারক্ষীর হিসাবে কর্মরত ছিলেন চোডুপ। কালিম্পংয়ের ঝালংয়ের টাকনা গুম্বা লোলের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তাঁর গুলিতেই হাওড়া দাসনগরের মিস্ত্রি বাগানের বাসিন্দা রিমা সিংহ প্রয়াত হয়েছেন। একটি গুলি তার মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। রিমা এবং আত্মঘাতী পুলিশ কনস্টেবলের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে তাদের দু’জনকেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।