কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পর সব থেকে বড় দলবদল ঘটে গিয়েছিল তখন যখন মুকুল রায় আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে। তারপর থেকেই কার্যত বাংলার রাজনৈতিক উত্তাপ আরো বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি এবং একের পর এক নিশানা করে চলেছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। যদিও বিগত কয়েকদিনে মুকুল রায় একের পর এক বিতর্কিত এবং জল্পনা উদ্দীপক মন্তব্য করে গিয়েছেন। প্রকাশ্যে বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। এই প্রেক্ষিতে তিনি আদতে কোন দলে রয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী তো ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন যে মুকুল রায় কোন দলে রয়েছেন তা স্পষ্ট করে একমাত্র বলতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! তবে মুকুল রায় কেন তৃণমূলে গিয়েছেন তার ‘আসল’ কারণ এবার বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপের কথায়, বিধানসভায় যাবার মুখ নেই মুকুল রায়ের। তিনি আসলে চাপে পড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন তাই এখন কিছু করতে পারছেন না। তিনি আরো আক্রমণ করে বলেছেন, মুকুল রায় নিজে জানেন তিনি কী অন্যায় করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকে কলুষিত করেছেন এবং গণতন্ত্রকে ক্ষতবিক্ষত করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তারা লড়াই করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন বলে জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নেন দিলীপ ঘোষ। মন্তব্য করেন, তিনি এতদিন সময় নিয়ে নিলেন কিন্তু আদতে দলত্যাগ যারা করেছেন তাদের ব্যাপারে কিছুই করতে পারলেন না। আদতে তিনি করছেন না।
আরও পড়ুন- পুজোর পর স্কুল খোলার ইঙ্গিত, পরিকাঠামো সংস্কারে সমীক্ষার কাজ শুরু
প্রসঙ্গত গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী জানান, দলত্যাগ বিরোধী আইন বিগত ১০ বছরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এবং বর্তমান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে কার্যকর করা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। আরও জানান যে, গাজলের বিধায়কের ২৩ বার হিয়ারিং করেও তা সম্পন্ন করা হয়নি। পুরনো তথ্য এবং অভিজ্ঞতা তাঁদের আছে, তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আগামী সপ্তাহে তাঁরা হাইকোর্টে যাবেন। তাঁদের মূলত দুটি দাবি, এক দ্রুত দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা অথবা দুই, অত্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অধ্যক্ষের নিষ্পত্তির ফলাফল ঘোষণা করা।