কলকাতা: কোনও গলা খাকরানি নেই! উধাও প্রতিবাদ৷ নারদ মামলায় ২ মন্ত্রী, এক বিধায়ক ও এক প্রাক্তন মেয়র-বিধাককের মুক্তির দাবিতে যেভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল, কিন্তু, তার সিকিভাগও কি ছত্রধর মাহাতোর গ্রেফতারির সময়ে হয়েছে? জঙ্গলমহলের সেই দাপুটে নেতা, যার জনপ্রিয়তার উপর ভর করেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে ভালো ফলাফল করে উরেছে তৃণমূল৷ কিন্তু জঙ্গলমহলে ভোট শেষে ২৭ মার্চ লালগড়ের গ্রামের বাড়ি থেকে ছত্রধরকে এনআইএ গ্রেফতারি নিয়ে কেন ময়দানে নামল না তৃণমূল? উঠছে প্রশ্ন৷
২০০৯ সালের জ্ঞানেশ্বরী মামলায় ২০২১ সালে গ্রেফতার করে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রাখা হয় ছত্রধরকে। কিন্তু ছত্রধরের গ্রেফতারির পর তাঁর মুক্তি নিয়ে সেভাবে উঠেপড়ে লাগেনি তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে ছত্রধর তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। ছত্রধরের স্ত্রী রাজ্যের নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের অন্যতম সদস্য। অন্যদিকে, নারদকাণ্ডে চার বর্তমান ও প্রাক্তন মন্ত্রীর গ্রেফতারের পর তাঁদের মুক্তির দাবিতে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লেও ব্যতিক্রম, ছত্রধরের ইস্যু৷ ছত্রধরের ক্ষেত্রে চুপ কেন?
জঙ্গলমহলের অন্যতম যুব তৃণমূল নেতা তথা ছত্রধরের দীর্ঘদিনের সঙ্গী জানিয়েছেন, ‘‘প্রতিহিংসার জন্যই ছত্রধরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর মুক্তির দাবিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা প্রতিবাদ জারি রেখেছি।’’ দলের একাংশের দাবি, ছত্রধরের অতীত নিয়ে খানিক অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই কারণেই তাঁর মুক্তির দাবি নিয়ে প্রথম থেকেই নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে শাসক শিবির৷