মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত, গণতন্ত্র আক্রন্ত, মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন? প্রশ্ন রাজ্যপালের

মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত, গণতন্ত্র আক্রন্ত, মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন? প্রশ্ন রাজ্যপালের

কলকাতা:  দিল্লি থেকে ফিরেই ফের উত্তরবঙ্গ সফরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ফের রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন তিনি৷ বললেন বাংলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক৷ এখানে লাগাতার হিংসা চলছে৷  

এদিন রাজ্যপাল বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সাধারণ মানুষের সুরক্ষা৷ গণতন্ত্রে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারের উপর কুঠারাঘাত করা হলে সরকার, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তৃব্য সেই অধিকারকে রক্ষা করা৷ তা না হলে গণতন্ত্র কলঙ্কিত হয়৷ ২ মে-র পর থেকে রাজ্যে যে ঘটনাক্রম চলছে তাতে আমি চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন৷ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমার কাছে খবর এসেছে৷ নন্দীগ্রামে গিয়ে, অসমের ক্যাম্পে ঢুকে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি৷ এই ধরনের ঘটনাক্রম আমাদের সিস্টেমের উপর প্রশ্ন তুলেছে৷ ফল প্রকাশের ৭ সপ্তাহ পরেও ভয়াবহ পরিস্থিতিকে অস্বীকার করা হচ্ছে৷  কেন প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? এটা অনুচিত৷ 

তিনি আরও বলেন, রাজ্যে লাগাতার ভোট পরবর্তী অশান্তি চলছে৷ স্বাধীনতার পর এত ভয়ানক ভোট পরবর্তী হিংসা, এত বর্বরতা, আতঙ্ক কোথাও দেখিনি৷ সরকারি আমলারা কেন রাশ টানতে পারছেন না? গণতন্ত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিকাশ৷ মানুষের সুরক্ষা৷ কিন্তু এখন পরিস্থিতি এতটাই ভয়বহ যে ভয়ে এই বিষয়ে কথাও বলতে পারছে না মানুষ৷ সাত সপ্তাহেও এর কোনও বিহিত হয়নি৷ মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য তাঁদের খোঁজ নেননি৷ কোনও রকম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি৷ এই সমস্যা এখন বিশালাকার ধারণ করেছে৷ কিন্তু সরকার চোখ বন্ধ করে রয়েছে৷ এত জঘন্য অপরাধের পরেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি৷ কোনও অনুসন্ধান হয়নি৷ তাঁর কথায়, সরকারের আত্মমন্থনের প্রয়োজন রয়েছে৷ তিনি বলেন, প্রতিটি সংস্থার সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত রয়েছে৷ রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত হচ্ছে৷ 

ধনকড় আরও বলেন, উত্তরবঙ্গ বাংলার গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ এখানে উন্নয়নের প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে৷ অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে৷ এর আগে শীতে এসেছি, ভোট পরবর্তী হিংসার সময়েও এসেছি, আবার এলাম৷ বারবার আসব৷ রাজ্যপাল হিসাবে আমার কী অবদান হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করব৷ যেখানে গিয়েছি, সেখানেই তিনটি প্রশ্ন করেছি৷ আপানারা পুলিশের কাছে যাননি কেন? প্রশাসনের তরফে কেউ এসেছে? এবং কোনও সাংবাদিক এসেছে? কিন্তু তাঁদের উত্তর কেউ যায়নি৷ তাঁর কথায়, ‘আমি যা বলছি, সেটা পাহাড়ের চূড়া৷ সমস্যা আরও গভীর৷ ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 15 =