পুজোর ৫০ হাজার টাকা অনুদান পাবে কারা? খোলসা করলেন মমতা

কলকাতা: এ বছর দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন কারা পাবে এই টাকা?
 

কলকাতা: এ বছর দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন কারা পাবে এই টাকা?

এদিন সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক এনজিও আছে বা পাড়ার অনেক ক্লাব আছে যারা হেল্প করতে চায়। তারা যেন এগিয়ে আসে। পুজো কমিটিগুলোকেও এনিয়ে প্রচার করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি জেলার পুলিশ সুপারদের বলেন ১০ বছর ধরে যারা পুজো করছেন, তাদের পুজোর অনুমোদন যেন অবশ্যই দিয়ে দেওয়া হয়। তারাও এই টাকা পাবে। আর যাদের ইতিমধ্যেই অনুমোদন রয়েছে তারা তো ৫০ হাজার টাকা পাবেই। এ বিষয়ে যেন কোনও রকম দুনীতি না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, কোনও পঞ্চায়েত বা পাড়ার হোমড়াচোমড়া বললে তাদের কথা মতো টাকা দেওয়া হবে না, এমনটা যেন না হয়। পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের। তিনি দল বা পঞ্চায়েতের মাধ্যমে এই টাকা কমিটিগুলিকে দেন না। দেন পুলিশের মাধ্যমে। অতএব তারা যেন সেদিকটা খেয়াল রাখেন।

এদিন সভায় ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রজেক্ট নিয়েও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, বাঁকুড়া, বীরভূম, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে এই প্রজেক্টের কাজ হবে। প্রজেক্টের ব্যাপারেও এদিন সভায় জানানো হয়। বলা হয়, পশ্চিমাঞ্চলের ৬টি জেলায় অনেক জমি রয়েছে যেগুলি চাষের যোগ্য নয়। সেখানে জলেরও অভাব। ফলে কৃষিকাজ করা যায় না। এই জমির কিছুটা ব্যক্তিহত মালিকানাধীন, কিছুটা সরকারের। আজ থেকে ৬-৭ মাস আগে শুরু হয় মাটির সৃষ্টি প্রজেক্ট। এই ৬টি জেলায় ৫০ হাজার একর জমিকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করার কথা হয়। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও ৬ হাজার একর জমিতে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১৯৪৫ একর জমিতে কাজ চলছে। ৯১টি সাইটে কাজ চলছে। ২৬টি ব্লকের মধ্যে ১৯টি ব্লকে কাজ শুরু হয়েছে। যদি কারোর জমির মধ্যে সরকারি জমি পড়ে তবে সেটা তাদের দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গ্রপ করে কাজ করা হচ্ছে এলাকাগুলিতে। এই কাজে ৫০ হাজার চাষিকে নিয়োগ করা যেতে পারে বলেও এদিন সভায় জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *