নন্দীগ্রাম: বিজেপি নেতারা ভাষণ দেবেন আর তাতে পাকিস্তান প্রসঙ্গ থাকবে না এটা যেন হতে পারে না। এতদিন দেশের সাধারণ মানুষ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের থেকে এই ধরনের ভাষণ শুনতে অভ্যস্ত ছিল। এখন বিজেপির বাংলার নেতারাও পাকিস্তান ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন আরো বেশি করে। এবার নন্দীগ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করলেন, নন্দীগ্রামে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা পাকিস্তান জিতলে বোমা ফাটায়। এই মন্তব্য করে তিনি অবশ্যই নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে।
শুভেন্দু মন্তব্য করেছেন, তৃণমূল এখন তাদের হাতে যারা পাকিস্তান জিতলে বোমা ফাটায়। এই প্রসঙ্গে তিনি নাম নিয়েছেন আমিরুল, সুফিয়ান, সামাদ, শাহাবুদ্দিনের। শুভেন্দুর বক্তব্য, এই সমস্ত লোকদের হাতে চলে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস দলটা। এরাই নন্দীগ্রামের অনেক বুথের মালিক! এর পাশাপাশি শুভেন্দু বলেন, এরা যদি ক্ষমতায় ফিরে আসে তাহলে কেউ কপালে টিপ আর কাছা দেওয়া ধুতি পরতে পারবেন না! একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলায় কখনো দূর্গা পূজার বিসর্জন বন্ধ হবে না, সরস্বতী পুজো করতে গেলে বাধা প্রাপ্ত হতে হবে না। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- ভোটের মুখে আর নয় বাইক মিছিল! বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের!
নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থীর দাবি, বিজেপি কখনো বিভাজনের রাজনীতি করে না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যিনি রাজনৈতিক পরামর্শদাতা, যদি বিহার থেকে এই বাংলায় এসেছেন, তিনি বাংলায় ৭০-৩০ শতাংশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছিলেন যে, ৭০-৩০ শতাংশ বলে কিছু নেই, ১০০ শতাংশই তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার অনেক আগে থেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন যে, তিনি বা তাঁর দল নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাফ লক্ষ ভোটে হারবে। তখন জল্পনা ছিল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন। যদিও প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর জানা গিয়েছে তিনি একটি মাত্র আসন থেকেই লড়াই করছেন, যা হল নন্দীগ্রাম।