ক্যান্সারে মৃত স্ত্রী, পরপর ৫ বিয়ে! বোন ডেকেও ধর্ষণ করতে পারে বিস্ফোরক আরজিকরে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের পড়শিরা

কলকাতা: আরজি করে অন ডিউটি মহিলা চিকিৎসককে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের একের পর এক কুকীর্তি ধীরে ধীরে সামনে আসছে। অভিযুক্ত সঞ্জয়ের বাড়ি কলকাতার শম্ভুনাথ…

Picsart 24 08 11 00 41 55 299

কলকাতা: আরজি করে অন ডিউটি মহিলা চিকিৎসককে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের একের পর এক কুকীর্তি ধীরে ধীরে সামনে আসছে।

অভিযুক্ত সঞ্জয়ের বাড়ি কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত রোডে ৫৫/বি এলাকায়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে সঞ্জয় এর সম্পর্কে চঞ্চল্যকর তথ্য। সঞ্জয়ের মা বলেছেন, তিনি জানতেন ছেলে পুলিশে কাজ করে। এমনকি বেশ কিছুদিন ধরে সঞ্জয় বাড়িও ফিরছিল না। সে যে সিভিক পুলিশ, সেই ধারণাও ছিল না তার মায়ের। তবে, মায়ের দাবি, “আমার ছেলে ধর্ষণ, খুন কোনওটাই করতে পারে না।”

এদিকে পড়শিরাও জানতেন সঞ্জয় পুলিশ।পাড়া-প্রতিবেশী কেউই সঞ্জয়ের সুনাম করতে পারেন নি। তারা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে সঞ্জয় বক্সিং করত। একটা নয়, পরপর পাঁচটা বিয়ে করেছে। প্রত্যেকটা বিয়ে টিকেছে বড়জোর ৩ থেকে ৬ মাস। চতুর্থ স্ত্রী তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলা চালাতে নিজের বাইক বিক্রি করতে হয় সঞ্জয়কে। গত ডিসেম্বরে বিয়ে করে শান্তিকে। কিন্তু জানত না যে, পঞ্চম স্ত্রী ক‌্যান্সারে ভুগছেন। বিয়ের দু’মাস পরই গত ফেব্রুয়ারিতে শান্তির মৃত্যু হয়। এর পর থেকে আর বাড়িতে রাত কাটাত না সে। প্রভাব খাটিয়ে থাকত চতুর্থ ব‌্যাটালিয়নের ব‌্যারাকে। পুলিশ বলে পরিচয় দিলেও বাড়িতে বা পাড়ায় কোনওদিন ইউনিফর্ম পরে আসেনি সঞ্জয়। কিন্তু এলাকায় তার রোয়াব কম ছিল না।

শুধু তাই নয়, এলাকার লোকজনকে কলকাতা পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগও রয়েছে। প্রতিবেশীদের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। সবার এক কথায় জবাব, সঞ্জয় ভাল ছিল না। চোর, জোচ্চোর, জালিয়াত ছিল। ওর ভাল হবে না। নিজেকে পুলিশের আর্মড ফোর্সে কাজ করে বলে পরিচয় দিতেন সঞ্জয়। পরে অনেকে জানতে পারেন, সঞ্জয় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করে। তবে, সঞ্জয় যে চরিত্রহীন, সে যে ধর্ষণ করতে পারে সেকথা মেনে নিয়েছেন পড়শিরা। এদিকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, অন্য থানার মহিলা পুলিশ কর্মী থেকে শুরু করে মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারদের রীতিমতো উত্যক্ত করত সঞ্জয় । এছাড়াও তার মোবাইল ফোন থেকে উদ্ধার হয়েছে কলকাতা পুলিশে কর্মরত বেশ কয়েকজন ফোন নম্বর। তাদের সঙ্গে কাজের বাইরে সম্পর্ক রাখত সঞ্জয়, এমনটাই দাবি লালবাজারের।

অন্যদিকে, যাকে নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি সেই আরজিকর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় ধরা পড়ার পরও বেপরোয়া ৷ পুলিশ কর্মীদের বলছে, “ফাঁসি দিয়ে দিন”।