তমলুক: প্রতি মাসে ৩৬ লক্ষ টাকা থাইল্যান্ডের অ্যাকাউন্টে৷ কে ম্যাডাম ন্যারেলা? তমলুক থেকে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী৷ কুলতলির সভা থেকে সুদীপ্ত সেনের চিঠিকে হাতিয়ার করে চাঁচাছোলা ভাষায় নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে রোড শো’র পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাল্টা তোপ দাগলেন শুভেন্দু৷ নাম না করেই বললেন, ‘ও তো ছোট বয়স থেকেই চিটিংবাজ। সে আজ বলছে বড়বড় কথা।’ একইসঙ্গে এদিন বিস্ফোরক কিছু তথ্য দেন শুভেন্দু৷ প্রশ্ন তোলেন, ‘লালার টাকা কার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে?’ এদিন থাইল্যান্ডের একটি ব্যাংকের ডিটেল দিয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, ওই অ্যাকাউন্টে প্রত্যেক মাসে ৩৬ লক্ষ টাকা করে ঢুকেছে। আর ওই অ্যাকাউন্ট ম্যাডাম নারেলার নামে রয়েছে দাবি শুভেন্দুর।
সেই ম্যাডাম নারেলা কে, তাও ক্রমশ প্রকাশ্যে বলবেন বলেও জানান শুভেন্দু। একইসঙ্গে তোপ দেগে বলেন, ‘আমার থেকে আঠারো বছরের ছোট। অথচ মুখের ভাষা তো এই। যেমন বাঁশঝাড়, তেমনই তো বাঁশ হবে। আমাকে বলছে ঘুষখোর, মধুখোর, আমাকে নাকি তোয়ালে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাহলে সৌগত রায়, কাকলী ঘোষ দস্তিদাররা কে? আমরা যাঁরা প্রতিবাদ করছি, তাঁদের বিরুদ্ধে সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লিখিয়েছে। আবার বলছি, সারদা কাণ্ডের জন্য কেডি সিংকে নিয়োগ করেছিল এই তোলাবাজ ভাইপো।’
রবিবার কুলতলিতে অভিষেকের আক্রমণের নিশানায় মূলত ছিলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী৷ শুভেন্দুকে এককথায় তুলোধনা করেন তিনি৷ কিন্তু শুভেন্দু যে তার পাল্টা দেবেন তাও জানা ছিল রাজনৈতিক মহলের৷ তাই আজ তমলুকের এই সভায় নজর ছিল সকলের৷ আর হলও তাই৷ এদিন ফের বিনয় মিশ্রর প্রসঙ্গও তোলেন শুভেন্দু৷ এই দুই নেতার নিশানা পাল্টা নিশানা বাংলায় রাজনীতির উত্তাপ ক্রমশ চড়ছে৷ একে অপরের বিরুদ্ধে তুলছেন বিস্ফোরক সব অভিযোগ৷ তবে মানুষ কাকে বিশ্বাস করবে তা বোঝা যাবে ভোটবাক্সের ফলাফলেই৷