বারুইপুর: তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে থাইল্যান্ডের একটি ব্যাংকের ডিটেল দিয়ে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, ওই অ্যাকাউন্টে প্রত্যেক মাসে ৩৬ লক্ষ টাকা করে ঢুকেছে। আর ওই অ্যাকাউন্ট ম্যাডাম নারেলার নামে রয়েছে। সেই ম্যাডাম নারেলা কে? তা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর৷ আজ বারুইপুরের সভা থেকে তা খোলসা করলেন শুভেন্দু৷ বললেন, লোকসভা ভোটের সময় যেই বিমানবন্দরে সোনা সহ যিনি ধরা পড়েছিলেন তিনিই ম্যাডাম নারেলা৷
এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, গত লোকসভায় কোথাও ভোট হয়নি৷ ভোট দিতে পারেনি মানুষ৷ কোথাও ভোট হয়নি, ডায়মণ্ডহারবার শহরে হয়েছিল৷ যে হেরেছে তৃণমূল৷ এদিন উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে শুভেন্দু জিজ্ঞাসা করেন পরিবর্তন হবে তো? একইসঙ্গে তাঁর কথায় এবার ভোট দিতে পারবে মানুষ৷ তোলাবাজ ভাইপোর সাগরেদরা রাস্তায় থাকবে না৷ এদিন বারুইপুরের সভা থেকে নাম না করে প্রশান্ত কিশোরকেও তোপ দাগেন শুভেন্দু৷ বলেন, নিজেদের বুদ্ধি এতটাই ভোঁতা হয়ে গিয়েছে যে বিহার থেকে ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে বুদ্ধি দেওয়ার লোক এনেছেন৷
এদিন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আমফান দুর্নীতি নিয়েও তোপ দাগেন শুভেন্দু৷ শুভেন্দুর ম্যাডাল নারেলা প্রসঙ্গ নিয়ে এদিন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে কিছু বলতে চাই না৷ তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার আক্রমণ করার মানে রাজ্য রাজনীতিতে তিনি প্রধান শক্তি৷ তারা যত আক্রমণ করবেন ততই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক প্রভাব বাড়বে৷