কলকাতা: গতকাল রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে স্ট্র্যান্ড রোডের বহুতলে। রেল ভবনের ১৩ তলায় আগুন লাগার ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের! মর্মান্তিক এই ঘটনায় গাফিলতি দায় কে নেবে তাই নিয়ে এখন প্রশ্নচিহ্ন, কারণ অগ্নিকাণ্ডের মধ্যেও বহুতলের লিফট চালানো হয়েছিল। সেই লিফটে করে আগুনের উৎস খুঁজতে গিয়েছিলেন দমকল কর্মীরা। কেন এই বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডের মধ্যেও লিফটে করে তারা উপরে যাওয়ার চেষ্টা করলেন, সেই নিয়ে এখন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে দমকল। হেয়ার স্ট্রেট থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪এ (গাফিলতি), ১১জে এবং ১১এল ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, পরোক্ষভাবে রেলের দিকে আঙ্গুল তুলে মামলা দায়ের করেছে তারা। কারণ বিল্ডিংয়ের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে বহুতলের বাইরে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, এই বহুতল রেলের মালিকানাধীন। যতই মামলা দায়ের আর একে অপরের দিকে আঙ্গুল তোলা হোক না কেন, লিফট চালানো নিয়ে বিতর্ক এখনো পর্যন্ত কমেনি। কারণ এই লিফটে করে উপরে যাওয়ার জন্যই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে গিয়েছে গতকাল। তাই স্বাভাবিকভাবে এই গাফিলতির দায় কার তা জানতে অবশ্যই উদগ্রীব সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: রেল ভবনে আগুন: ঝলসে মৃত ৯, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা কেন্দ্র-রাজ্যের! দায়ের গাফিলতির মামলা
এদিকে রেল ভবনে আগুন লাগার বিষয় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করবে রেল বলে জানা গিয়েছে। যদিও যে কর্মীরা সেখানে কাজ করেন তাদের অধিকাংশের দাবি, বহু কর্মী একই জায়গায় কাজ করার পরেও সঠিকভাবে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা ছিল না সেখানে। এমনকি কোনদিন ফায়ার ড্রিল পর্যন্ত হয়নি। এদিকে গতকাল রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন যে, সঠিক সময়ে রেল ভবনের নকশা চাওয়া হলেও তা পাওয়া যায়নি। এই ব্যাপারে তিনি সরাসরি রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। যদিও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল দাবি করেছেন যে রেল সহায়তা করেছে। অতএব মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা নিয়েও ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে।